1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল উন্মোচন করল ফিফা

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হতে এখনো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে, তবে এর আগেই শুরু হয়ে গেছে সুদৃশ্য প্রস্তুতি এবং উত্তেজনা। সম্প্রতি, বিশ্বকাপের ব্যতিক্রমী ও আধুনিক বলের প্রথম প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজ পার্কে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তী ফুটবলাররা। এই তালিকায় ছিলেন পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ এবং ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান।

নতুন বিশ্বকাপের বলের নাম দিয়েছেন ‘ট্রাইওন্ডা’, যা অ্যাডিডাস তৈরি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটিই ধারাবাহিকভাবে ১৫ বার ফিফার অফিসিয়াল বল সরবরাহ করে আসছে। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানান, ‘আমরা গর্বিত এই নয়া বল উপস্থাপন করতে পেরে, যাকে ডিজাইন করা হয়েছে কানাডা, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্য ও উচ্ছ্বাসের প্রতীক হিসেবে।’

‘ট্রাইওন্ডা’ নামটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—‘ট্রাই’ অর্থ তিন এবং ‘ওন্ডা’ অর্থ ঢেউ। বলটি আলোকিত হয়েছে প্রবল দেশপ্রেম ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে, যেখানে রয়েছে লাল, সবুজ ও নীল রঙের ঢেউ। এই তিন রঙের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, এই তিন দেশের মিলিত প্রচেষ্টা ও ঐক্য। আরও স্পষ্টতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে বলের নকশা, যেখানে দেখা যায় ‘অ্যাপোলো’, ‘আমেরিকা’, ‘ম্যাকডোনাল্ড’ প্রতীক।

বিশেষ করে, বলের ওপরের প্রতীকগুলো গ্রাফিক্স ও খোদাই করা, যার সঙ্গে রয়েছে সোনালি রঙের স্পর্শ। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপের মহামহিম ট্রফির প্রতি সম্মান ও উচ্চারণ করা হয়েছে, যে বলই ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞের জন্য তৈরি।

নতুন ডিজাইনের এই বলের বৈশিষ্ট্য হলো চার-প্যানেল নকশা, যা বলটিকে আরও স্থিতিশীল এবং টেকসই করে তুলেছে। পুরু সেলাই ও স্পষ্ট রেখাগুলো বাতাসের মাধ্যমে বলের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বলের উপর খোদাই করা প্রতীকগুলো ভেজা অবস্থায়ও গ্রিপ সহজ করে দেয়। তবে মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অ্যাডিডাসের ‘কানেক্টেড বল টেকনোলজি’, যেখানে ভেতরে থাকা ৫০০ হার্জের সেন্সর খেলোয়াড়দের কর্মকাণ্ডের রিয়েলটাইম তথ্য সরবরাহ করে, যা ব্যবস্থাপনাকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, офফসাইড বা ফাউলের মতো বিতর্কিত পরিস্থিতি দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।

অ্যাডিডাসের মহাব্যবস্থাপক স্যাম হ্যান্ডি বলেন, ‘প্রতিটি ছোটো জিনিসই বড় প্রভাব ফেলে, আর এই ডিজাইনগুলো—খোদাই, গ্রাফিক্স ও রঙ—বলটিকে আলাদা করে তুলেছে। এটি আমাদের তৈরি করা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুটবল বিশ্বকাপ বল।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo