1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হতে পারে রোববার বা সোমবার পূর্বাচলে সাগর-রুনির ছেলে মেঘের জন্য জমির দলিল হস্তান্তর ইসির ইউটিউব চ্যানেল উদ্বোধন ও এআই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বার্তা আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচন নয়: জামায়াত তারেক-বাবরের খালাসের বিরোধিতা: আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেটকার উল্টে মুন্সীগঞ্জে তিনজনের মৃত্যু পুলিশ সদস্য শেখ আফজালুলের রাজসাক্ষী হতে আবেদন সিআইডির জালে ধরা পড়লো মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটের স্বপন, সম্পদ জব্দ খাগড়াছড়িতে মা ও মেয়েকে গলা কেটে নির্মম হত্যাকাণ্ড

টেলিসংলাপের সেই ৩৭ মিনিট

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩
hasina-khaleda_23877_0

প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে আলাপ হয়। প্রায় ৩৭ মিনিটের ওই ফোনালাপে উঠে আসে রাজনীতি ও সংলাপ ছাড়াও অতীতের বিভিন্ন বিষয়।এই দুই নেত্রীর ফোনালাপের সময় কাছাকাছি যারা ছিলেন তাদের কাছ থেকে শুনে কথোপকথনের চুম্বক অংশ নিচে তা তুলে ধরা হলো।শেখ হাসিনা: আমি আপনাকে দুপুরে লাল টেলিফোনে ফোন দিয়েছিলাম। বারবার রিং হয়েছে। আমি দুঃখিত আপনি যেকোনো কারণে ফোন ধরতে পারেননি।

খালেদা জিয়া: লাল টেলিফোনে আপনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু ফোনটির সংযোগ অনেক দিন থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

শেখ হাসিনা: আচ্ছা ঠিক আছে, আমি দুঃখিত। ফোনটা ডেড (বিকল) ছিল বা ডেড করে রাখা হয়েছে কি না, বলতে পারছি না। আগামীকাল এটা আমি দেখব।

খালেদা জিয়া: টিঅ্যান্ডটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ফোনের লাইন নাকি ঠিক আছে। এটা মিথ্যা কথা। ফোনটি ডেড। আপনি তাঁর (টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

শেখ হাসিনা: আপনি তো ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। আপনি আমাদের ৩২ নম্বরের বাসায় রাসেলকে দেখেছেন। নিষ্পাপ ওই শিশুকে হত্যার দিনে কীভাবে আপনি জন্মদিন পালন করেন, কেক কাটেন! এটা তো আপনার আসল জন্মদিন নয়।

খালেদা জিয়া: ১৫ আগস্ট কারও জন্মদিন হলে তারা কি জন্মদিন পালন করতে পারবে না। আমার দুই ছেলে তো দেশের বাইরে।

শেখ হাসিনা: আগামী নির্বাচন সম্পর্কে গণভবনে এসে কথা বলার জন্য আমি ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় আপনাকে দাওয়াত করছি। আমার সঙ্গে রাতের খাবার খাবেন।

খালেদা জিয়া: আপনি নির্দলীয় সরকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু এতে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সবার সুযোগ নিশ্চিত হবে না। আর সোমবার (২৮ অক্টোবর) কীভাবে যাব। ওই দিন তো হরতাল। অন্যদিন আসব। আপনি নির্দলীয় সরকারের দাবি নীতিগতভাবে মেনে নিন। তাহলে আন্দোলন প্রত্যাহার করব।

শেখ হাসিনা: আমি তো আপনার কথা রেখেছি। ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ফোন দিলাম। এখন আসতে সমস্যা কী। হরতাল প্রত্যাহার করে আসেন।

খালেদা জিয়া: আমার পক্ষে তো এককভাবে হরতাল প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এটা তো ১৮ দলের হরতাল। জোটের অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২৯ তারিখের পর যেকোনো দিন আসা যায়।

শেখ হাসিনা: আপনি অনির্বাচিত লোকদের কথা কেন বলেন? নির্বাচিতদের ওপর আস্থা রাখেন। আমরা যারা নির্বাচিত, তারাই দেশ চালাই। আপনার দলের নির্বাচিতদের মধ্য থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রতিনিধির নাম দেন।

খালেদা জিয়া: আপনি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পছন্দ না করেন, তাহলে ‘৯৬-এর নির্বাচনের আগে কেন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মিলে আন্দোলন করেছিলেন। তৃতীয় পক্ষের কথা বলছেন। সেটা যদি না-ই চাইতেন, তাহলে ২০০৭ সালে কেন ওই সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। আপনাদের আন্দোলনের ফসল বলেছিলেন। নির্বাচনেই বা গেলেন কেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo