1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

!? গাছে ধরবে সোনা !?!

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

Tree

‘গাছে টাকা ফলে’ বলে প্রবাদ থাকলেও বাস্তবে তা কখনোই হয় না।  তবে এবার বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, টাকার চেয়েও মহামূল্যবান সোনা ফলতে পারে গাছে। খবর এএফপি’র।

মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা জানান, তারা দেখতে পেয়েছেন ইউক্যালিপটাস গাছের পাতায় সোনা ফলতে পারে। এই গাছের গভীর শিকড় মাটি থেকে নির্যাস নিয়ে সোনা তৈরিতে সক্ষম।

ন্যাচার কমিউনিকেশন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এই আবিস্কার সোনা সঙ্কটে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী দিনদিনই সোনার মজুদ কমছে এবং দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

সাময়িকীটি জানায়, গত এক দশকে সোনার খনির আবিস্কার ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।

নিবন্ধে বলা হয়, ইউক্যালিপটাস গাছের শিকড় শুকনো মৌসুমে মাটির গভীরে পৌঁছে পানি সংগ্রহ করে। অনেক সময় শিকড় সোনাসমৃদ্ধ স্তরে পৌঁছে যায় এবং সোনা তৈরির ক্ষুদ্রকণা আহরণ করে।

অস্ট্রেলিয়ার একদল বৈজ্ঞানিক বলেছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন- এসব শিকড় সোনা আহরণ করতে পারে এবং সেগুলো পাতায় পরিবাহিত করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানায়, সভ্যতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাটির নিচ থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার টন সোনা আহরণ করা হয়েছে।

২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, বিশ্বে এখন মাত্র ৫১ হাজার টন সোনার মজুদ রয়েছে।

মহামূল্যবান এই ধাতুটির দাম গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ৪৮২ শতাংশ।

যত সোনা আহরণ করা হয়, তার ৬০ ভাগ দিয়ে অলঙ্কার বানানো হয়। এছাড়া ইলেকট্রনিক্সের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং ক্যান্সার চিকিৎসাসহ মেডিকেল প্রযুক্তি তৈরিতেও সোনা ব্যবহার করা হয়।

গাছে সোনা ফলার গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য সোনা মজুতের স্থানে ইউক্যালিপটাস গাছের বৃদ্ধি পরীক্ষা করেন। তারা এক্সরে ইমেজের মাধ্যমে গাছের পাতা, কাঠি, বাকল, আগাছা ও মাটিতে স্বর্ণ পরীক্ষা করেন।

ইউক্যালিপটাস গাছ ৩৩ ফুটের বেশি লম্বা হতে পারে এবং এর শিকড় ১৩২ ফুটের মত গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম।

তবে গাছে সোনার উপস্থিতি তেমন বেশি নয়। প্রতি টনে এক গ্রামের কয়েক হাজার ভাগের একভাগ সোনা পাওয়া গেছে। সোনার বেশি উপস্থিতি রয়েছে পাতায়।

গাছেও সোনার উপস্থিতি সনাক্ত করা গেছে। তবে সেই সোনা মাটি থেকে আহরণ করা হয়েছে নাকি তা বাতাসে সৃষ্টি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, এ অবিস্কারের সূত্র ধরে ভবিষ্যতে হয়তো সোনার নিরবচ্ছ্ন্নি সরবরাহ ঠিক রাখার প্রযুক্তি আবিস্কৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo