1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

করোনা নিয়ে হিমশিম অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকরা

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৯ মার্চ, ২০২০

করোনা ভাইরাস যে কেবল ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তা নয় অর্থনৈতিক পর্যায়ে নীতিনির্ধারক মহলেরও এটি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। চীনের উহান প্রদেশ থেকে শুরু করে এটি এখন প্রায় ৫০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার, যাদের বেশির ভাগই চীনের নাগরিক।

পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। এই ভাইরাস কত দ্রুত কত দেশে ছড়াবে, কতদিন কোয়ারেন্টিনে হাজার হাজার মানুষকে বন্দি জীবন কাটাতে হবে আগে থেকে তার কিছুই অনুমান করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি অর্থনীতিবিদদের জন্য করণীয় কী? এ এমন এক অবস্থা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সুদের হার কমানো, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, কর রেয়াত—কোনটি উপযুক্ত হবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। কেউই এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পন্থা বাতলাচ্ছেন না। সবাই অপেক্ষা করছেন দেখা যাক কি হয়। এরই মধ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার ওয়ালস্ট্রিটে দরপতন ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য শেয়ারবাজারেও দরপতন হয়। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এর মধ্যে ২০০৮ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন।

এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে। নিজেদের মধ্যেও ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে। চেইন হোটেল ও মার্কেটগুলোর ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটন। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুডিস অ্যানালিটিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি বলেন, ‘বর্তমান সঙ্কট এমন এক সময় দেখা দিল যখন চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে ইউরোপ ও জাপান ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছিল। এছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক শুল্ক লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল। নিউইয়র্কভিত্তিক বহুজাতিক গ্রুপ সিটির চিফ ইকনোমিস্ট ক্যাথেরিন ম্যান বলেন, উত্পাদন ও সেবাখাতে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

করোনা ভাইরাসের খবর জানুয়ারির মোটামুটি প্রথম দিক থেকে গণমাধ্যমে শিরোনাম দখল করতে শুরু করে। প্রথম দিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন ছিলেন না। তারা ধরে নিয়েছিলেন ব্যাপারটি ২০০৩ সালে চীন থেকে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মতো হতে পারে। সাময়িকভাবে কিছুটা সমস্যা হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি অর্থনীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু এবারের ভাইরাস যেমন দ্রুত ছড়াচ্ছে তেমনি এর বিস্তার ঘটছে প্রায় বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। দক্ষিণ মেরু ছাড়া সব মহাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। ১৭ বছর আগে যা ঘটেছিল তার চেয়ে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীনের অবদান ছিল ৪ শতাংশ, এখন ১৬ শতাংশ। চীনের ফ্যাক্টরি ও গুদামগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সম্পর্ক এখন অনেক নিবিড়। বিশ্বজুড়ে শিশুদের খেলনা, ফুটওয়্যার এবং সেলফোন আমদানি-রপ্তানি চীন একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ সুং অন সহন বলছেন, যে এ কারণেই বর্তমান অবস্থাকে ২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসের সঙ্গে মেলান যায় না।

সিনিয়র অর্থনীতিবিদরা দশকের পর দশক চলে আসা পুনরাবৃত্তিমূলক অভিজ্ঞতার আলোকে মন্দাকালীন নীতি ঠিক করে থাকেন। যেমন বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পাওয়া ক্রেতা সাধারণের ব্যয় করার প্রতি অনীহা দেখা দিলে অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা তৈরি হয়। সরকার তখন প্রণোদনামূলক অর্থের যোগান ও কর হ্রাস করে ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনে। অর্থনৈতিক চক্রের এটি অনেক পুরোনো একটি মডেল। বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকদের পরামর্শে সরকারকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিস্তার এমন এক অবস্থা তৈরি করেছে যার সঙ্গে পূর্ব অভিজ্ঞতা মেলে না। দেশে দেশে কোয়ারেন্টিনে সাময়িক বন্দিদশায় পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এর ফলে অর্থ ও পণ্য দুটোর প্রবাহই স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। তাতে পরিস্থিতি জটিল হওয়া ছাড়া অন্য কিছু হবে না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo