1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

জাতীয় ঐক্যের পেছনে একটি ভয়ানক ড্রাগন

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

বি এন পি-কে দোষী বলা যায়না। দোষ আমি দেই-ও না। যদি কারো দিকে আঙ্গুল তাক করতেই হয় তাহলে ডক্টর কামাল আর তার তথাকথিত জাতীয় ঐক্য’র ইয়ার দোস্তদের দিকেই তাক করা উচিৎ। এই আপাদমস্তক এলিট এবং বৈশ্বিক স্বৈরশাসকদের গোলাম ডক্টর কামাল এখন তার প্রাচীন ব্যার্থ কিছু লুজারদের সাথে করে যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন সেটির নাম সাপের বিষ-কে হই হই করে মধু প্রমাণের প্রজেক্ট।

জাতীয় ঐক্য নামের যে বদমাশ মোর্চাটি এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এটি আসলে কোন ভাবেই কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। এই জাতীয় ঐক্য নামটির মধ্যেই সমস্যা রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিছু টকশো জীবি, একটি গামছা ভাঁড় আর দুটো পতিত পলিটিকাল প্রস্টিটিউট দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয়না।

জাতীয় ঐক্য আলাদা জিনিস। কথা ছিলো জাতীয় ঐক্য হবে সকল পলিটিকাল কনসেপ্টের একটা কমন প্লাটফর্ম হিসেবে যেখানে একটা হারমোনাইজড কনসেনসাস ফর্ম করবে, যেখানে জাতীয় ঐক্যমতের পরিপূর্ণ চর্চা হবে।

অথচ এই জাতীয় ঐক্যের নাম করে জনাব কামাল যেটিকে সামনে এনেছেন সেটি হচ্ছে একটা ভয়ানক ড্রাগনকে আড়াল করে কিছু ভেজা বিড়ালকে সামনে এনে দাঁড় করানো। আসলে এরা ভেজা বেড়ালও নয়। এরা হচ্ছে মিরকাট জাতীয় ছুঁচো প্রাণী। যে প্রানী আগুন লাগলে চোখ বন্ধ করে ফেলে এবং মনে করে তারা চোখ বন্ধ করলেই আগুন নিভে যাবে।

বি এন পির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজকে অপ্রত্যাশিত ভাবে কয়েকটি সঠিক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে আর সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে, বি এন পির রাজনীতি করা যাবে না”

গয়েশ্বর এই কথাটি যে কামাল সাহেবকে লক্ষ্য করে বলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য কামাল সাহেবের কানে এটি গেছে কিনা আমার জানা নেই।

জানিনা উপরের এই বক্তব্য সঠিক কিনা। তবে যদি গয়েশ্বর এটি নাও বলে থাকে তথাপিও বলা যেতে পারে যে, এটি বি এন পির তৃণমূল থেকে শুরু করে ওদের ডাগর জোয়ানদেরও ভাষ্য এটি।

মানে দাঁড়াচ্ছে, কামাল সাহেব আর কাদের সিদ্দিকী সাহেবরা ধানের শীষের উপরে বসে বসে বঙ্গবন্ধুর নামে তসবি জপবেন আর ছুরি বসাবেন হাসিনার পিঠে, এটির থেকে গয়েশ্বরের কথাটি বরং জাতীয়তাবাদী ঘরানা হিসেবে যথেষ্ঠ যৌক্তিক। ভাত খাবে খালেদার আর পিঠ চুলকাবে বঙ্গবন্ধুর, এটা হয়না।

আপনি বি এন পির বিছুলি চাবাবেন আবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বয়ান কপচাবেন, এই দুইটি একসাথে যায়না।

মান্না-কাদের-রব-জাফর এরা কারা? বাংলাদেশের রাজনীতিতে এদের পোছে কে? এদের পেছনে জনতার ম্যান্ডেট গুনে গুনে কয়টি রয়েছে? ৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যদি কামাল সাহেবের মার্কাটা নৌকা না থাকতো তবে সেই ৫৬ লক্ষ ভোট আর তাঁকে পেতে হোতো না। ঠিক এর পরে গণ গাধা কিংবা গণ ফোরাম করে যেমন বার বার জামানত খুইয়েছেন তিনি, ঠিক তেমনটি হতো।

কথায় কথায় সংবিধানের লেজটি ধরে কামাল নাড়তে থাকেন। পুরো কোর্টে কামাল তার মনোপলি তৈরী করে রেখেছেন। যাকে সামনে দেখেন তাকেই তিনি ধমকে বলেন, সংবিধান চেন? যেন একটা সংবিধান মাস্তান কিংবা সংবিধান ম্যানিয়াক।

নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি, সবাইকে তিনি কোর্টে গেলে ধমকান। বাংলাদেশে কি কামাল-ই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি আইন বোঝেন? তিনিই কি একমাত্র ব্যাক্তি যিনি সংবিধান বোঝেন? এইতো সেদিন তিনি সূপ্রীম কোর্টে গিয়ে এটর্নী জেনারেলকে বাস্টার্ড বলে এলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে নির্বাচন কমিশনারকে ঝেরে এলেন। এই লোকটি এত স্পর্ধা পেলো কোথায় থেকে? এর এই সাহসের উৎস স্থান কারা? আমেরিকা?

গত ১০ টি বছর তার মেয়ের জামাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করবার জন্য সব রকমের চেষ্টা করেছে। কোথায় ছিলেন তিনি?

এখন সে তার আরেক মিশন হিসেবে বি এন পি আর জামাতকে হালাল করবার মিশনে নেমেছেন। গলা উঁচু করে তিনি বলেন, জামাত এলে তিনি জাতীয় ঐক্য করবেন না। অথচ বি এন পি জামাতের সাথে একদিকে ঐক্য ঠিক রেখেছে আবার অন্যদিকে তাদের আরেক ঠ্যাং উঠিয়ে রেখেছে কামালের কপালে।

কামালের ব্যাপারটা হচ্ছে এমন যে, “আমি তো পতিতার ঘরে সরাসরি যাইনা, মান্নার দুয়ার দিয়ে যাই”। অবশ্য কামাল এইবার ঝেড়ে কেশেছেন। চোখের সব রকমের লজ্জা ফেলে রেখে ধানের শীষ তার মার্কা বলে মেনে নিয়েছেন। ভোটের মাঠে গন ফোরামের উদীয়মান সূর্য যে ডুবিয়মান সূর্য হিসেবে ডুবে যাবে এটা এই চালাক লোকটি ধরে ফেলেছে। এই খোলশ ফেলে সামনে আসার জন্য কামালকে এই ক্ষেত্রে একটা ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে।

জাতীয় ঐক্যের পুরো ঘটনাটি একটু সরল চোখে দেখতে গেলে বলতে হয় একটা মানুষের পাছা চলে এসেছে সামনে, মুখ চলে গেছে পেছনে। অর্থ্যাৎ এই ঐক্যে বি এন পি কে যদি মূল মাথা ধরি আর কামাল গংদের পাছা ধরি তাহলে বলতেই হয় বি এন পি হচ্ছে পুরো গ্যাংটির মূল দল। যাদের রয়েছে কিছু অনুসারী। এদের বাদ দিলে মান্না-কাদের-জাফর-রব কিংবা কামালদের সব মিলিয়ে গোটা বিশেক ভোট রয়েছে যদি এদের আত্মীয় স্বজন দয়া করে এদের ভোট দেয় অথবা পুশ সেলিং ভালো হয়। অর্থ্যাৎ কিছু পুশ সেলার দোকানদার চলে এসেছে সামনে আর মূল আড়ৎদার বসে রয়েছে পেছনে।

আজকের সুইং ভোটার তরুনেরা কি একবার ভেবে দেখবে যে কেন এই পাছা সামনে আর মাথা পেছনে করে মূল ড্রাগন লুকায়িত? তারা কি প্রশ্ন করবে জাতিকে? কেন বি এন পির মত এত বড় একটা দল আজকে পিছু হটতে হটতে কামাল-মান্নার পেছনে এসে লুকিয়েছে? যদি সেই প্রশ্ন তারা করে, তারা শুধু সেখানে দেখবে হাওয়া ভবন, রক্ত, খুন, লুটপাট আর বঞ্চনার ইতিহাস।

জাতীয় ঐক্যের নামে যে তারেক রহমানীয় মোর্চা গঠিত হয়েছে এটি ইলেকশনে জিতলে প্রথমেই দুটো লাথি মেরে কামালকে ফেলে দেবে। এরপর লাথি খাবে মান্না, তারপর খাবে কাদের। রব আর জাফরের লাথি খাবার সুযোগ কম কেননা এই দুইটি সব সময় তরলের সাথে মিশে যেতে পারে। ফলে শেষ পর্যন্ত যেটি রয়ে যাবে সেটি হচ্ছে বি এন পি আর জামাতের পুনরায় শাসন।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ যে মূল্যবোধের চর্চা শিখেছে কিংবা আমরাও গত কিছুকাল যাবৎ যে বাংলাদেশের কথা বলেছি সেখানে বি এন পি কিংবা জামাতের স্থান হতে পারে না অথবা এদের পলিটিকাল কনসেপ্ট গ্রহন করবার জন্য দেশ প্রস্তুত নয়। জাতীয়তাবাদের সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মের নামে রাজনীতি কিংবা স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি এই বাংলাদেশে আর হবে না, হতে দেয়া যাবেনা।

কিছু তরুন আর নিরীহ ভোটারদের অবুঝ ক্ষোভকে পুঁজি করে এই ভেজা বেড়ালরা যে ফিকির করছে, এটিকে মুকুলেই বিনাশ করতে হবে। বিনাশ করতে হবে তথ্য দিয়ে, বিনাশ করতে হবে এই তরুনদের ইতিহাস ভিত্তিক পাঠ দিয়ে।

এই তরুনদের বুঝাতে হবে, জাতীয় ঐক্যের নামে কামাল কিংবা জামালরা তোমাদের ভুল বুঝাচ্ছে। ওরা ভালো মানুষির মুখ করে তোমাকে ছেড়ে দেবে একটি অসভ্য ড্রাগনের হাতে। যেখান থেকে তুমি হারিয়ে যাবে অন্ধকারের সবচেয়ে গহীন কিনারে। তোমার ফিরে আসবার আর উপায় থাকবে না।

আওয়ামীলীগে কারো আপত্তি থাকলে সেটিতে সমস্যা নেই। আওয়ামীলীগে আপত্তি থাকতেই পারে। গত পাঁচটি বছর ধরে যে মোটা দাগের গ্রিড লাইনগুলোতে আওয়ামীলীগ ছুরি চালিয়েছে সেটির পুরো ব্যাপারটি অত্যন্ত করুন। এটির ফলাফল এতটাই করুন যে, যে লোকের ভোট মাত্র তিনি নিজে আর তাঁর স্ত্রী, তাঁকেও এখন গুনতে হচ্ছে।

কিন্তু এই গ্রিড লাইনগুলো ট্র্যাকে ফেরত আনা সম্ভব। এও সম্ভব আওয়ামীলীগকে বাধ্য করা এবং এও সম্ভব শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে বলা ও বুঝাতে পারা। শেখ হাসিনার আমলে যে সমস্যাগুলো আমরা চিহ্নিত করে উচ্চকিত হয়েছি সেটিকে রেক্টিফাই এই শেখ হাসিনাকে ঘিরেই সম্ভব। এটি আমি খুব বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি।

কিন্তু জাতীয় ঐক্যের নাম করে একটি গামছা ভাঁড় আর একটি সংবিধান ম্যানিয়াক কিংবা পলিটিকাল পতিতাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বি এন পি জামাত জোট যদি এই জনপদে আরেকবার ঢুকে পড়ে তাহলে এই জাতির যেমন আর রক্ষে নেই, ঠিক একইভাবে এটিই হবে এই বাংলাদেশের প্রাথমিক গৃহযুদ্ধের প্রথম পাঠ।

তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই দেশের অগণিত তরুনদের। কক্ষচ্যুত গ্রিড লাইন এই তরুনেরা নিজ হাতে ঠিক করবে নাকি গামছা আর সংবিধান ম্যানিয়াক অথর্বের আড়ালে একটা ড্রাগনের সাথে তারা যুদ্ধ করবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo