1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

আমাকে আদালতে আসতে হলে ওনাকেও আদালতে আসতে হবেঃ খালেদা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ থেকে পুরাতন কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়।

সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাকে আদালতে আসতে হলে ওনাকেও (শেখ হাসিনাকে) আদালতে আসতে হবে। একজনকে সেভ করবেন, আরেকজনকে বলি দিবেন, এটা তো হয় না।’

তিনি পূর্ববর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন দাবি করে আরও বলেন, ‘আমি তো শুধু তাদের (পূর্ববর্তী সরকার) ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছি। যদি না করতাম তাহলে বলা হতো, কেন আমি দেই নাই।’

পরে বিএনপি চেয়ারপারসন নিজের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে আদালতে থাকতে পারবেন না বলে জানান।

পরে আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবির খালেদা জিয়ার কথার জবাবে বলেন, ‘ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) এ মামলায় আনার সুযোগ নাই। উনি তো এ মামলার পার্ট না।’

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের ভেতরে স্থাপিত আদালতে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হাজির করা হয়।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ ছিল। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবীরা আদালতে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে অভিযোগের গঠনের শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এর বিচারক মাহমুদুল হাসান। এ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কারণে মামলাটির এজলাস নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারে বসানো হয়েছে।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করে আদালত। পরে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। পরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গত বছর ১৮ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেন। এ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত। রায় প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গত বছরের ৩০ নভেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এরপরেই মামলাটির অভিযোগপত্র গঠন নিয়ে বেশ কয়েকবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ হলেও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনে তা বারবার পিছিয়ে যায়।

এদিকে, নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি না হলেও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে গত ৬ অক্টোবর কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এখানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে থাকা অবস্থাতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে (দুদক) হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের পৃথক মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বিশেষ জজ আদালত। তার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ আরও ৩২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo