1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল ৫৪ জন প্যারাট্রুপার একসঙ্গে পতাকা হাতে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ১৬ ডিসেম্বরের প্রতিশ্রুতির পরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আসিফ নজরুল রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্য: স্বাধীনতার পর থেকেই গড়ে তোলার প্রত্যাশা ছিল গণতান্ত্রিক সমাজের শেখ হাসিনার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে প্রসিকিউশন ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স روانাপন আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে রিট খারিজ বিজিবি নিশ্চিত নয় হাদির হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়েছে কি-না ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা

আ.লীগ ছিয়ানব্বই সালে ক্ষমতায় আসার আগে ক্ষমা চেয়েছিল ‘আমরা ভালো হয়ে গেছি’ মানে

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

আওয়ামী লীগ তিন দফায় ক্ষমতায় এসে একের পর এক bloedাশ এবং গণহত্যা ঘটানোর পাশাপাশি দেশের কোটি কোটি লাশ উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে, তারা হাতজোড় করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন—বলেছিলেন, “অতীতে আমাদের দল বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যে অন্যায় আচরণ করেছে, যে জুলুম করেছে, আমরা বিনা শর্তে মাফ চাই। একটিবারের জন্য আমাদের ক্ষমতা দিন, আমরা ভালো হয়ে গেছি। এখন দেশের জন্য কিছু ভালো করতে চাই।” সেই সময় হাতে তসবিহ ও মাথায় ঘোমটা ছিল।’ আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে এক যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ভুল বোধ করেছিল যে, তাদের মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আসল পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেননি, যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে, নিজের রূপ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। তা ছাড়া, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামে বক্তৃতা তুলে ধরেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “চট্টগ্রামের নেতাদের তিরস্কার করে, এক হত্যাকাণ্ডের পর বলেছিলেন—তোমরা কি হাতে চুরি পড়ে বসে আছো? যদি আমার দলের একজনকে হত্যা করা হয়, তাহলে তার বদলে দশজন লাশ ফেলা হবে।” এই ছিল একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন হুঙ্কার ও উন্মাদনা। তখন বিভিন্ন খালে, বিল, নদী, জঙ্গলে, বাজারে, মাঠে একের পর এক মানুষের কাটা লাশ পাওয়া যেতে শুরু করেছিল।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যার পরিণতি মানুষ স্বচক্ষে দেখেছে। দেশের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, আওয়ামী লীগ এই দুঃখের সময় থেকে শিখবে। কিন্তু তাদের প্রতিচ্ছবি তখনও একই রকম ছিল। এবছর তারা আবার ১৯৯৬ সালে মাথা হেঁট করে, হাতে তসবিহ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছিল। সেই বছর ১০ জানুয়ারিতে তারা আবার ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এই তিনটি সময়ে বাংলাদেশের যেখানে রয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের হাতে মানুষের জীবন হারিয়েছে, যেখানে মা-বোনের সম্মান লুট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সকল ক্ষেত্রেই তাদের দাগ পড়েছে। নোয়াখালীর মত এক জেলা যেখানে একাত্তরে এক নারীকে আওয়ামী লীগ বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছিল, একটি জাতীয় আঘাত।

একাত্তরের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল, বাংলার ছাত্র-শ্রমিক-জনতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের স্বপ্ন ছিল, দেশের সব বৈষম্য দূর হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মর্যাদার স্থান হবে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তীতে শাসকগোষ্ঠী সেই স্বপ্ন বিনষ্ট করেছিল।

বলে তারাও বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ সেনা, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি রক্ষীবাহিনী গঠন করেছে। মায়ের ইজ্জত লুট করা হয়েছে। মন্ত্রীর ছেলেরা ব্যাংক ডাকাতিতে লিপ্ত হয়েছে, ৭৪ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষে শত শত মানুষ মরেছে, মাঠ-ঘাটে লাশ পড়ে থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা বলেছে, বাংলাকে সোনার বাংলা করে গড়ব বলে, কিন্তু এদেশ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। তাদের কার্যক্রমের ফলাফল এখন সব পরিষ্কার।

যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অতীতের ভ্রান্ত রাজনীতিকে বিসর্জন দিয়ে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দাঁড়াতে হবে। সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়াতে হবে, এমন রাজনীতি করতে হবে যা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে রাখে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজ, ধর্ষক ও মামলাবাজের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য সংগ্রাম করতে হবে।

ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘আমরা শুধু দলের জয় চাই না, পুরো ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। এই বিজয়ের জন্য যারা বাধা দেবে, যুব সমাজ তাদের লাঠি দিয়ে সরিয়ে দেবে।

নির্বাচন কমিশনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোক্রমেই কমিশনের জন্য মোক্ষম সুবিধা চাই না। কিন্তু যদি কেউ অন্ধভাবে পক্ষপাতিত্ব করে, তা মাথা নিচু করে গ্রহণ করব না। আমরা চাই, কমিশন তাদের শপথের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo