1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

কার্গো টার্মিনালের আগুনে রপ্তানি খাতে ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা: ইএবি

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় দেশের রপ্তানি শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ট Twelve হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রপ্তানি ও শিল্প খাতের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম, ইএবি (এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ), একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা হারানোর আশঙ্কাও উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুত পুনরুদ্ধারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র, এখানে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর ঘটুক না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং জোন দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন এই স্থানে কোটি কোটি ডলারের পণ্য ওঠানামা করে। এই সংবেদনশীল স্থাপনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ করে।

তারা প্রশ্ন ওঠায় বলেন, কি এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় কি অটোমেটিক ফায়ার ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম ছিল? আগুনের সময় বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল কীভাবে ছিল? বাইরে থেকে ফায়ার সার্ভিসের আসতে এত সময় লাগলো কেন?

নেতারা অভিযোগ করেন, দেশের সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স—এই তিন প্রতিষ্ঠান এ জন্য দায়ী, যাদের দায়িত্ব ছিল কার্গো টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। তাদের ব্যর্থতার কারণেই আজকের এই বিপর্যয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগুনে প্রথমে তৈরি পোশাক, চামড়া, হিমায়িত মাছ, কৃষিপণ্য, ফলমূল, ফার্মাসিউটিক্যাল কাঁচামালসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য পুড়ে গেছে। এতে অনেক ক্রেতা তাদের অর্ডার বাতিল করেছেন এবং বেশ কিছু বিদেশি ব্র্যান্ড বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইএবি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি, যেখানে বীমা কাভার ছিল না, সেই পণ্যের জন্য বিশেষ সরকারি তহবিল থেকে সহায়তা, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা জোরদার, রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন, আধুনিক স্ক্যানার এবং প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপন, কার্গো ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন ও ফায়ার প্রোটেকশন ব্যবস্থার উন্নয়ন।

অবশেষে, রপ্তানিকারক নেতারা দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন, যাতে কিছু অস্বচ্ছতা বা অবহেলা যেন আবার ফিরে না আসে। তারা সরকারের, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo