গত কিছুদিন ধরেই ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে জনগণের নজর কাড়ে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্টার। এই পোস্টার গুলো প্রচার করছে হেফাজতে ইসলামি বাংলাদেশ নামের বাংলাদেশের একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক দল। প্রবাসে বসবাসকারী বিভিন্ন সমকামী ব্লগারদের নাম ও ছবি যুক্ত করে এসকল পোস্টারগুলো ছাপানো হয়।
এমন একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে “নাস্তিক, মুরতাদ, ব্যাভিচারকারী, আল্লাহর আইন অমান্যকারী এনায়েতুল হুদা ও আবু তাহেরের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল কর, করতে হবে” একই সাথে একইধর্মী আরেকটি পোস্টারেও একই বক্তব্য লেখা আর সেটি আরমান আহমেদ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
এই ধরনের পোস্টার বাংলাদেশে সচারাচর দেখা যায়না এবং অনেকটা দূর্লভও বটে সুতরাং নিজস্ব কৌতূহলের এক গনগনে আগুনে ঝাঁপ দিতেই হোলো। স্থানীয় হেফাজতের কর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মেহেরপুরের ছেলে এনায়েতুল হুদা লন্ডনে প্রকাশ্যে তিনি নিজে ও তার সঙ্গী আবু তাহের সমকামী বলে ঘোষনা দিয়েছে এবং ফেসবুকে তার ব্লগ ও সেই ব্লগে থাকা ছবি শেয়ার করেছে বয়েজ লাভ ওয়ার্ল্ড নামের একটি সমকামী ম্যাগাজিন পেইজ। একই সাথে আরমান আহমেদ নামে উল্লখ্য ব্যাক্তিও বাংলাদেশের সমকামিতার প্রসারের জন্য লন্ডন থেকে নানাবিধ আল্লাহ, রাসুল বিরোধী কুরুচীপূর্ণ লেখালেখি করছেন। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা, আলোচনা। গতকাল শহরের বিভিন্ন গলিতে চলেছে পোস্টারিং ও সমাবেশ। তাঁরা এনায়েতুল হুদা, আবু তাহের ও আরমান আহমেদকে বাংলাদেশের কুলাঙ্গার সন্তান হিসেবে সূচিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এনায়েতুল হুদা বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ী মেহেরপুর হলেও তার পিতা বা মাতার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু বছর আগে ঢাকার মিরপুরে এই এনায়েতুল হুদা বসবাস করতেন। তবে স্থানীয়রা তাকে উপল নামে সনাক্ত করেন। এই এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম স্থানীয় একজন যুব সংগঠক। তিনি বলেন, “উপল যতদিন মিরপুরে ছিলেন আমি তার মধ্যে খারাপ কিছু দেখিনি কিন্তু সে যে একজন নোংরা সমকামী এটা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। পুরো ঘটনাটি আমাকে অত্যন্ত বিষ্মিত করেছে”।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরেকজন সমকামী অধিকার কর্মী খায়রুল্লা খন্দকার-এর পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বসবাস করেন। বাবা মা, ৩ ভাই ও ২ বোন নিয়ে নিয়ে তাঁদের পরিবার। খায়রুল্লা খন্দকার-এর পিতা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। বেশ কয়েক বছর ধরেই খায়রুল্লা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সমকামী অধিকার ও ধর্মের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে লেখালেখির জন্য তিনি পরিচিত। তিনি নিজেকে উভকামী হিসেবেই দাবী করেন এবং সমকামীদের রক্ষা ও বাংলাদেশ পেনাল কোড -এর ৩৭৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে ব্লগ ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখালেখি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাঁরা কেউ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁদের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য জানা যায়। তাঁদের এক প্রতিবেশী জিয়াউল হক জানান, “খায়রুল্লার সমকামিতার বিষয়ে আমরা আগে থেকেই অল্প জানতাম তবে একদম নিশ্চিত ছিলাম না। তবে এখন অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি খায়রুল্লা যুক্তরাজ্যে গিয়ে সমকামী অধিকার নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে গেছে এবং নিয়মিত ব্লগ ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করছে। তবে আমাদের ক্ষোভের বিষয় হচ্ছে, খায়রুল্লা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ইসলাম ধর্ম ও আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ(সাঃ) – কে নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করে প্রবন্ধ লিখেছে যা আমাদের ৯৫ ভাগ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, এতে করে সে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ধর্ম অবমাননা করা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।” আরেক প্রতিবেশী মাহিয়ান আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “খায়রুল্লা যে সমকামিতার সাথে লিপ্ত তা আমাদের দেশের আইন বা সমাজ – সবার কাছেই দোষী। তার এ ধরনের নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের জন্য তার পরিবার সমাজের কাছে অনেক ছোট হয়েছে। এ ধরনের সমকামীদের জন্য আমাদের এলাকায় কোন স্থান নেই।”
তবে আরেক সমকামি কর্মী আরমান আহমেদের বাড়ী ঢাকার উত্তরার ৪ নাম্বার সেক্টরে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে জানা যায় বেশ কিছু বছর আগে আরমানের পিতা গত হন। ৩ ভাই এক বোনের মধ্যে আরমান সকলের ছোট। ২০১৩ সালের ঢাকার গণজাগরণ মঞ্চের সময় তাকে এই আন্দোলনে বেশ মুখর দেখা গেছে বলেও অনেকে সনাক্ত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আরমানের বড় ভাই ইমরান আহমেদ গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে জড়িত। তাঁর কর্মস্থল উত্তরার এম কে ইন্টারন্যাশনাল এ গিয়ে তাঁর ভাইয়ের সমকামিতার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে এই এলাকার তরুন যুবক সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, আরমান আজ বেশ কিছু বছর ধরেই যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সেখানে গিয়ে তিনি প্রকাশ্যে সমকামিতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং লন্ডনের নাস্তিককদের এক প্যারেডে “আল্লাহ সমকামী প্ল্যাকার্ড” নিয়ে তিনি মিছিলেও যোগ দিয়েছেন।
এই সংবাদের পর আরমানের পরিবারে নেমে এসেছে এক শোকের ছায়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আরমানের পরিবার অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ একটি পরিবার। ছেলের এহেন কর্মকান্ডে ও এমন ধর্ম অবমাননাকারী অবস্থানে পুরো পরিবার এখন এক অসহনীয় সংকোচনে দিনানুপাত করছে।
উপলের সঙ্গী আবু তাহেরের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি ঢাকার উত্তরায় বসবাস করতেন। এলাকাবাসী তাঁর গ্রামের বাড়ীর ব্যাপারে খোঁজ দিতে না পারলেও তিনি তেজগাঁও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র ছিলেন বলে জানা যায়। তাহেরের স্থানীয় বন্ধু মামুন রহমান কে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তাহের অত্যন্ত মুক্ত মতের অধিকারী ছিলেন। তবে আল্লাহ খোদা বিরোধী তেমন কিছু বলতে শুনি নাই। তিনি বাংলাদেশে হিজড়াদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন বলে আমি শুনেছি”
এদিকে এনায়েতুল হুদার ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় আরো চমক প্রদক তথ্য। এনায়েতুল হুদার আপন দাদার ভাই বজলুল হুদা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আত্নস্বীকৃত খুনী কয়েক বছর আগে যার ফাঁসী কার্যকর হয়েছে। এনায়েতের ফেসবুকে গিয়ে দেখা যায় যে তিনি সেখানে একের পর এক ধর্ম অবমাননাকারী কদর্য সব মন্তব্য করে রেখেছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এবং সেখানে ক্রমাগত প্রচার করছেন সমকামিতা।
ঠিক একই রকম আরেকটি পোস্টার আমাদের নজর কাড়ে। তানজিলা তাজ রিসা নামক আরও একজন সমকামী অধিকার কর্মীর নামেও পোস্টারিং করেছে হেফাজত ইসলামি বাংলাদেশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রিসা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তিনিও ব্লগ ও বিভিন্ন মিডিয়াতে দীর্ঘদিন ধরে সমকামীদের অধিকার নিয়ে লিখালিখি করছেন এবং ধর্মের গোঁড়ামি ও বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে লিখলিখি করছেন। তাঁর পরিবার রাজধানী ঢাকায় বসবাস করেন। তাঁর এই লেখালেখি ও পোস্টার সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন না বলে আমাদের এ প্রতিবেদককে জানিয়ে দেন। তবে তাঁর প্রতিবেশী সমাদ্দার আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েদের যে আসলে কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। তারা কিভাবে সমকামী হয়ে যায়? তাদের মানসিক চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। আর তারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কেন কটূক্তি করবে? তাদের এতো সাহস হয় কিভাবে?” আরও একজন প্রতিবেশী জিল্লুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এদের মতো নাস্তিক কাফেরদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? সবগুলোকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।”
এদিকে সুজনের সাম্প্র্তিক এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে বাংলাদেশের বাইরে যত দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্থায়ী বা অস্থায়ী আবাসনের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একটি সিংহ ভাগ সমকামিতার দিকে ঝুঁকছে। ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে সুজনের এই সমীক্ষা প্রকাশ উপলক্ষ্যে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয় যেখানে দেখানো হয় যে বাংলাদেশ থেকে চলে যাবার পরেই সাধারণত একজন সমকামি নিজেকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। এই প্রবনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির মনোরোগ বিষয়ে এনালিস্ট প্রফেসর মিসেস শাহানা আফরোজের কাছে প্রশ্ন করি। তিনি আমাদের বলেন যে “এই প্রবণতার মূল কারন হচ্ছে দেশে সমকামিতার বিরুদ্ধে সাধারণ জনতা ও সরকারের আইনগত ভাবে বিরুদ্ধ অবস্থান। বাংলাদেশের পেনাল কোডের ৩৭৭ ধারার ফলে যেহেতু সমকামিতা নিষিদ্ধ সেহেতু এই বিষয়ে প্রকাশ্যে বলা কিংবা এই ব্যাপারে সর্ব সম্মুখে কথা বলাটাও আইনের আওতায় পড়তে পারে এমনটা ভেবেও কিন্তু ভয়ের কারন রয়েছে। মূলত সরকারী পক্ষ থেকে বিধি ও সামাজিকভাবে প্রবল চাপের কারনেই নিজেদের দেশে একজন সমকামি নিজেদের সেক্সুয়াল আইডেন্টিটির ব্যাপারে ঘোষনা দিতে সন্ধিগ্ধু ও ভীত হয়ে থাকে”
তিনি আরো বলেন যে, “সমকামিতা একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার। এটি নিয়ে তাই ঘৃণার চাইতে এটির বোধগম্যতার স্থান তৈরী করে দেয়াটা সবচাইতে জরুরী”
এই সমীক্ষায় উঠে আসে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত প্রায় ৬০ হাজার ছেলে মেয়ে সমকামিতার দিকে ঝুঁকেছে। যার পরিমাণ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাতেই বেশী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু লন্ডনেই নয় বরং বাংলাদেশের বাইরে এমন পশ্চিমা দেশ গুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে বাংলাদেশী সমকামির সংখ্যা। উল্লেখ্য যে গত ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ইং সোমবার বিকালে রাজধানীর কলাবাগানে খুন হন ইউএসএআইডির কর্মকর্তা ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল অফিসার জুলহাজ মান্নান (৩৫) ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয় (২৮)। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামের এক ইসলামিক গেরিলা গোপন গোষ্ঠী যারা আলকায়েদার বাংলাদেশ শাখা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে, তারা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। জানা যায় জুলহাজ ও মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। যদিও ঘটনার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও খুনিই আদতে গ্রেফতার হয়নি এখন পর্যন্ত।
নিহত জুলহাজ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই। বাংলাদেশে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন তিনি। ‘রূপবান’ নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করতেন তিনি। অন্যদিকে তনয় আশা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতেন। লোকনাট্য নামের একটি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের বাইরে এইভাবে ক্রমাগত সমকামীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে কিনা এই ব্যাপারে সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এই এক দুইটা আল্লাহর গজব প্রাপ্ত ব্যাক্তির জন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবেনা। এরা সবাই তসলিমা নাসরিন আর নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের অনুসারী এবং চরম নাস্তিক। এদেরকে শায়েস্তা কিভাবে করতে হয় তা জনতা জানে। এদের কারনে দেশের ও সরকারের কোন ক্ষতি হবার প্রশ্নই আসেনা”
এটিও উল্লেখ্য যে গত বুধবার দুপুরে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা কমিটির সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান জানান, গত সাত এপ্রিল শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রফিউর রাব্বি ইসলাম ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বক্তব্য দেন।
হেফাজত নেতার দাবি রাফিউর রাব্বি ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যদি বাংলার মানুষ জানত সংবিধান বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দিয়ে শুরু হবে, দেশ হবে সাম্প্রদায়িকতার দেশ, তবে ৩০ লাখ শহীদের মুক্তিযুদ্ধে কেউ অংশগ্রহণ করত না।’
অনেকেই মনে করেন হেফাজতের এইসব উত্থান কিংবা রাফিউর রাব্বির বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে শামীম ওসমানের প্রচ্ছন্ন ইন্ধন রয়েছে।