1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হতে পারে রোববার বা সোমবার ইসির ইউটিউব চ্যানেল উদ্বোধন ও এআই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বার্তা আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচন নয়: জামায়াত পূর্বাচলে সাগর-রুনির ছেলে মেঘের জন্য জমির দলিল হস্তান্তর তারেক-বাবরের খালাসের বিরোধিতা: আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেটকার উল্টে মুন্সীগঞ্জে তিনজনের মৃত্যু পুলিশ সদস্য শেখ আফজালুলের রাজসাক্ষী হতে আবেদন সিআইডির জালে ধরা পড়লো মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটের স্বপন, সম্পদ জব্দ খাগড়াছড়িতে মা ও মেয়েকে গলা কেটে নির্মম হত্যাকাণ্ড

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে (এমএফএস) এখন শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবা। এর মাধ্যমে করা হচ্ছে কর্মীদের বেতন পরিশোধ। এছাড়া সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নিতে পারছেন এর গ্রাহকরা। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে এ লেনদেন মাধ্যমটির। 

এ সেবায় গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। মোবাইল ব্যাংকিং এখন গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দিনে লেনদেন হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহর কিংবা গ্রাম, এক মুহূর্তে দেশের যে কোনো স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ নগদ লেনদেনের চেয়ে ক্যাশ লেস লেনদেনে বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। তবে এখানে ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’-এর তথ্য যুক্ত হয়নি। নগদের হিসাব যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বাড়বে। সেই হিসাবে এমএফএসে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেন ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরই ‘নগদ’-এর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ২০২২ সালের জুলাই শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে গ্রামে ১০ কোটি ৭ লাখ  ৫৪ হাজার এবং শহরে ৮ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৯ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৬ হাজার ২৩৯ জনে।

সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে এর সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন এমএফএসের মাধ্যমে গ্রাহক দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারবেন। আগে দৈনিক ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমার সীমাও নির্দিষ্ট ছিল না। এখন একজন গ্রাহক আরেকজনকে মাসে ২ লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এ সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo