1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

বিএনপির ৭ মিত্র গড়লো ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি যে মুহূর্তে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে, ঠিক তখনই বিএনপির পুরোনো ও নতুন মিত্র মিলিয়ে মোট সাতটি দল ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে পৃথক রাজনৈতিক মোর্চার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল।

সোমবার (৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

সরকার পতনের আন্দোলন জোরদারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়তে আত্মপ্রকাশ করা গণতন্ত্র মঞ্চে জেএসডি ছাড়াও রয়েছে নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

এর মধ্যে তিনটি বিএনপির পুরোনো মিত্র এবং চারটি নতুন মিত্র। গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকদের মধ্যে পাঁচটি রাজনৈতিক দল; সেগুলো হল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। আর গণস্বাস্হ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ এবং হাসনাত কাইয়ূমের নেতৃত্বাধীন ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ রাজনীতি-মিশ্রিত হালআমলের সংগঠন।

আ স ম রবের নেতৃত্বাধীন ‘জেএসডি’ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন ‘নাগরিক ঐক্য’ বিএনপিকে মূল শক্তি ধরে গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক ছিল। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বর্তমানে বিলুপ্ত। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অকার্যকর, এটি আর নেই’। আর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কয়েক দিন আগে বলেছেন, ‘গত নির্বাচনে ড. কামালকে ইমাম মানা ছিল বড় ভুল সিদ্ধান্ত’।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ ছেড়ে আসা দুটি দল। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম থেকেই গত বার ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। রেজা কিবরিয়া সম্প্রতি ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে নিয়ে ‘গণঅধিকার পরিষদ’ নামে নতুন দল গড়েন। ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ ও ‘রাষ্টÌ সংস্কার আন্দোলন’ গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গী ছিল।

দেশ বড় বিপদে পড়ছে: রেজা কিবরিয়া

গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘আমরা বিরাট একটি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। আইএমএফকে ডেকে আনা ভালো লক্ষণ নয়। আমি নিজেও আইএমএফে চাকরি করেছি। একটা দেশ সুসময়ে আইএমএফকে ডাকে না। নিশ্চয় অনেক বড় বিপদে দেশ চলে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, সরকার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি ও জনশুমারি নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।

এটাই হবে কার্যকরী জাতীয় ঐক্য: রব

গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষণা দিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম রব বলেন, ইতিহাসের অনিবার্য প্রয়োজনে এই মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করল। কারণ, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও ভোটে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। কোনো ষড়যন্ত্র নয়, আমরা ওপেন ঘোষণা দিচ্ছি- তোমাদের (সরকার) ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, এটাই হবে কার্যকরী জাতীয় ঐক্য।

নতুন সংগ্রামের সূচনা করতে চাই: মান্না

সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের রূপরেখা উপস্থাপন করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলে দেশে এক নতুন সংগ্রামের সূচনা করতে চাই। আমরা চাই, রাজপথে যুগপত্ ধারায় জনগণের বৃহত্তর কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে যাতে বর্তমান সরকার ও বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা বদলাতে জনগণের এক ব্যাপক উত্থান ঘটানো সম্ভব হয়। আমরা জনগণকে এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা নতুন সংগ্রামের সূচনা করতে চাই।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে রাষ্টÌ সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, তারা শুধু সরকারের কর্তৃত্ববাদী আচরণের প্রতিবাদই করবে না, বরং আগামী দিনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে যেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করে, সেজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন —বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় পুলিশি অত্যাচার-নির্যাতন-হামলা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলসহ সব জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে ১১ আগস্ট বেলা ১১টায় গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকায় বিক্ষোভ করবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo