1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল ৫৪ জন প্যারাট্রুপার একসঙ্গে পতাকা হাতে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ১৬ ডিসেম্বরের প্রতিশ্রুতির পরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আসিফ নজরুল রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্য: স্বাধীনতার পর থেকেই গড়ে তোলার প্রত্যাশা ছিল গণতান্ত্রিক সমাজের শেখ হাসিনার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে প্রসিকিউশন ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স روانাপন আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে রিট খারিজ বিজিবি নিশ্চিত নয় হাদির হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়েছে কি-না ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা

মেসির জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

লিওনেল মেসির উপস্থিতি কলকাতাবাসীর জন্য এক অপ্রত্যাশিত ও কষ্টের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল। নানা ধরনের অসংগঠিত ব্যবস্থা ও পরিকল্পনার অভাবে যুবভারতী স্টেডিয়ামস্থ অনুষ্ঠানের পরিবেশ ছিল তেমন স্বাভাবিক নয়। এই ঘটনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেসির কাছে সরাসরি ক্ষমা চেয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “সল্টলেক স্টেডিয়ামে শনিবার যে অব্যবস্থাপনা দেখা গেল, তা আমি গভীরভাবে বিচলিত ও দুঃখিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”

আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেসি যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই ভিড়ে পড়ে যান জনতার দাপটে। উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও তারকারা, তবে তার জন্য বড় ধরনের দুর্বিপাকের পরি‌স্থিতি তৈরি হয়। ভক্তরা তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য তাড়াহুড়ো করে। এরফলে, গ্যালারিতে উপস্থিত কিছু দর্শক মেসিকে চাক্ষুষভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ডুগডুগি ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকায় কিছু সময়ের মধ্যে মেসিকে দ্রুত স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর ফলে, উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। স্টেডিয়াম থেকে বোতল ছোঁড়া হতে শুরু করে আর গ্যালারির চেয়ার ভাঙা হয়। ভাঙা চেয়ার ও বোতল মাঠের মধ্যে ছুড়ে ফেলা হয়। কিছু দর্শক আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। তবে, সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

উত্তেজিত ভক্তরা একেবারে গ্যালারির সীমানা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেন। কেউ কেউ গোল পোস্টের জাল ছিঁড়ে ফেলেন, আবার কিছু জন সাজঘরের পথে ট্যানেলের ছাউনিও ভেঙে ফেলেন। স্টেডিয়ামের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোফা, টেবিল ও অন্যান্য জিনিস পুড়িয়ে ফেলেন কেউ কেউ। এই পুরো ঘটনায় স্টেডিয়াম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অনেক দর্শক স্টেডিয়াম থেকে টাক ও ফুলের টবসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে বের হন। এভাবেই বিশাল ক্ষতি হয় স্টেডিয়ামের।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo