1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
ইনুর বৈধতা চেয়ে টেলিভিশনে সরাসরি বিচার সম্প্রচারের আবেদন ইসির আমন্ত্রণ, টিভি টক শোতে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি ইইউ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আন্দোলন চালিয়ে ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ করা অর্থ উপদেষ্টাকে, ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের আরও তিন হত্যা মামলায় জামিন স্বীকৃতি বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল ৫৪ জন প্যারাট্রুপার একসঙ্গে পতাকা হাতে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ১৬ ডিসেম্বরের প্রতিশ্রুতির পরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আসিফ নজরুল রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্য: স্বাধীনতার পর থেকেই গড়ে তোলার প্রত্যাশা ছিল গণতান্ত্রিক সমাজের

২০ দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

আজ সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে এক তথ্যবহুল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যারা বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ব্যক্তিগত নেতৃত্বে একত্রিত হয়েছেন। এই জোটের নাম দেয়া হয়েছে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ)।

জোটে আরও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দল, যেমন – জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংকট সমাধান এবং দেশের আগামীর জন্য একটি সুদৃঢ় মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। আমরা দেশটির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৪ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও জাতীয় ঐক্যকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যেতে চাই। এই নতুন জোটের মাধ্যমে আমরা জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ, ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়া শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অবকাঠামোগত সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিজ নিজ স্বকীয়তা ও আদর্শ বজায় রেখে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করব। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জোটের নাম দেয়া হয়েছে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’।’

তাঁর বক্তব্যে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যেমন:
১. ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন পরিচালনার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
২. অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দুই মাসের মধ্যে গঠন করতে হবে।
৩. অবৈধ হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচন ও রাজনীতি স্বচ্ছ করতে হবে।
৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৬. স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
৭. দুর্নীতি মুক্ত, জোরদার সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

অপরদিকে, গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দেয় তিনটি দল—নিহার ইসলাম নেতৃত্বাধীন ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। এই জোটের নাম ঘোষণা করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এই জোটের সদস্যরা হলো: এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই জোটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে দুটি পথে চলতে না দেয়ার জন্য সরকারের পরিবর্তন, গণতন্ত্র ও সংস্কার প্রতিষ্ঠা করা। এর মাধ্যমে নতুন পরিবর্তনের সূচনা এবং দেশের রাজনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo