৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার এ বছরের আসরে বাংলাদেশের প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলা নিজেদের দক্ষতা ও সৌন্দর্য দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে দিয়েছেন। তিনি এ প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৩৯ হাজার ভোট পেয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল এক রেকর্ড। এতে প্রতিযোগিতার আয়োজনকারী সংস্থা মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে এই খবর। সোমবার (১৭ নভেম্বর) তাদের অফিসিয়াল পেজে এই উচ্ছ্বসিত ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রতিযোগী মিথিলার ছবি শেয়ার করে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পরিচালক মুস্তফা ইসলাম ডিউক লেখেন, ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ।’ তারা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশবাসী এক সঙ্গে আরও তিন লাখ ভোট দিয়েছেন, ফলে এখনকার ভোটের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ লাখ ৩৯ হাজারে। এ বিজয় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের প্রতিযোগীর জন্য গর্বের বিষয়।
মিস ইউনিভার্স বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি বদলে দিতে পারে একজনের জীবন। এই আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে থাইল্যান্ড ও মেক্সিকো ভিত্তিক ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন’, যা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যাপক দর্শকপ্রিয় একটি বিউটি প্যাজেন্ট। এর সরাসরি সম্প্রচারে প্রতি বছর দেখেন প্রায় ৫০ কোটির বেশি দর্শক। বার্ষিক বাজেট প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার, যা এই প্রতিযোগিতাকে আরও বিশেষ করে তোলে।
বিজয়ীর জন্য এক বছরের জন্য নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো নগদ আড়াই লাখ ডলার (প্রায় তিন কোটি টাকা) অর্থমূল্য চেক, যা একটি ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ। বিজয়ীর জন্য নিউইয়র্কের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, যেখানে একটি বছর থাকাকালীন সব খরচ মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ বহন করে।
আরও রয়েছে বলিষ্ঠ এক বছরের জন্য ব্যক্তিগত সফর ও ভ্রমণের সুবিধা—যেখানে তিনি বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সব খরচ, হোটেল, খাবার, ফটোশুট বা অন্যান্য ইভেন্টের আয়োজন রয়েছে প্রযোজকের ব্যবস্থাপনায়।
পাশাপাশি, এক বিশাল লাভের অংশ হলো ৫.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হীরাখচিত মুকুট, যা ‘ফোর্স ফর গুড’ নামে পরিচিত। এই অমূল্য মুকুটটি প্রায় এক হাজার হীরার ও নীলকান্তমণি দিয়ে সজ্জিত এবং এটি পরার জন্য দায়িত্বশীলতা বয়ে আনে।
তবে শর্ত হলো, বিজয়ীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাতব্য কাজে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক। যেকোনো দেশের বাইরে গেলে মিস ইউনিভার্সের অনুমোদন নিতে হবে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত কনসার্ট, ফ্যাশন শো, ইভেন্ট বা সিনেমা দেখার সুযোগ, যা সবাই যেন একজন তারকা হিসেবে অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। এককথায়, মিস ইউনিভার্সের সারাজীবনকালীন এই সুযোগটি প্রার্থীর স্বপ্নের মতো জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়।