1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

রাজধানীতে ধারাবাহিক ককটেল নৈরাজ্য, উদ্বেগে সাধারণ মানুষ

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনা নাশকতার জন্য পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের চারপাশে ঘটে প্রথম এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গড়া গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর ঠিক কিছুক্ষণ পর, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে অবস্থিত একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এটি কল্যাণের জন্য কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে এই ধরনের ঘটনাগুলো যেন ভবিষ্যতেও না ঘটে তার জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

একই সময়ে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারসের সামনে অজ্ঞাত দুই-তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনারও মোক্ষম কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ডিএমপি জানিয়েছে যে, এসব ঘটনায় ঘটনার স্থান ও সময়ের বিবরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, এবং দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে রমনা এলাকায় একটি গির্জার সামনে দুটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটিকে বিস্ফোরণ ঘটে, অন্যটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। একই রাতে মোহাম্মদপুরে সেন্ট যোসেফ হাইস্কুলের গেটের ভেতরে গেল শুক্রবার রাতে আরও একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সে রাতে বিদ্যুৎ থাকছিল না, যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

যদিও কেবল ককটেল নিক্ষেপই নয়, নাশকতাকারীরা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার ভোরে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় দুটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে তদন্তে জানা যাবে এই আগুনের কারণ কি ছিল। এ সকল ঘটনায় এখনো কারও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বেশ কয়েকদিন ধরে এ ধরনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঘটছে, যা রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার একটি বাসেও দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়েছে। এতে হতাহত হয়নি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চালানো হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষও সতর্ক থাকতে এবং অবিলম্বে কোনও সন্দেহজনক পরিস্থিতি নজরে এলেই পুলিসকে اطلاع দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo