1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের মহান আত্মদান ও সাহসিকতার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শাসকরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথে নতুন আলোর সৃষ্টি হয়েছে। আজকে চূড়ান্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্তগুলো পূরণ করতে হবে এবং মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি এই মন্তব্য করেন ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বিশেষ বাণীতে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তারেক রহমান দেশের মানুষসহ সকলের জন্য আন্তরিক শুভকামনা ও অভিনন্দন পাঠিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধুমাত্র রাজনৈতিক মোড় Temer পরিবর্তনের ঘটনা নয়, এটি দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে জাতীয় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের আত্মোৎসাহের এক সংগ্রাম। এই বিপ্লব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে, দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে। সেই সময় দেশপ্রেমে উজ্জীবিত এই জনতার আন্দোলনে এক বদলে যাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে দুর্বল করে দিয়ে আধিপত্যবাদী চালাকচাতুরির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এর জন্য তারা একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, বাকশালী সরকার অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলো হরণ করে। এই চরম সংকটময় সময়ে ৭৫ এর ৩ নভেম্বরের দিন বিপথগামী চক্রেরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। ঐ সময়ই জনতার ও সেনাদের সম্মিলিত ঐক্য ও সংহতির ফলে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এই ঘটনার ফলে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে, গণতন্ত্রের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয় এবং বাক-স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

পরে, তবে, আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্টরা ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করে। যদিও জিয়াউর শাহাদত বরণ করেছিলেন, কিন্তু তার আদর্শের বলীয়ান নানা মানবতাবাদী নেতা ও কর্মী দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি মনে করেন, আবারও চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে, দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে তোলে। দুর্বলতাগুলোর জন্য তারা মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিরোধী নেতাকর্মীদের নিপীড়ন করে, গুম করে, হত্যা করে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালায় এবং দুর্নীতি ও অপশাসনের রাজত্ব কায়েম করে।

তারেক রহমান আরও বলেন, stolen Democracy এর প্রতীক খালেদা জিয়াকে অনেক বছর ধরে কারাবন্দি রেখে মুক্তি দেয়া হয়নি। তিনি সমাজে ন্যায্য বিচার ও সুস্থ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানান।

তিনি শেষ করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশীয় সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যগুলো ধ্বংসের চেষ্টা করে। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে একত্রিত হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। এখন সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার, এই মুহূর্তে এর গুরুত্ব অপরিহার্য।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo