1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫ অনুমোদন, বিনিয়োগ ও রপ্তানি উন্নতির আশা

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

সরকার সম্প্রতি ‘জাতীয় রজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন করেছে, যা দেশের পরিবহন, সরবরাহ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক, আরও দক্ষ ও টেকসই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নীতিটি আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে অনুমোদন পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকের শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, একটি সুসংগঠিত নীতিমালা থাকলে সরকারি ও বেসরকারি খাতে কার্যক্রম আরও সুসংহত হয় এবং লক্ষ্য অর্জনে সুবিধা হয়। নীতিমালাটি দেশের লজিস্টিকস খাতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।

প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, এই নীতির কারণে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি বিনিয়োগ আগের তুলনায় অনেক বেশি আসবে এবং আমাদের রপ্তানি খাতের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে মাঝে মাঝে পণ্য রপ্তানি করতে সময় লেগে যায় ১১ দিন পর্যন্ত। এ নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে পণ্য পরিবহন ও পৌঁছানোর সময় কমে আসবে এবং রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ ও গতিশীল হবে।

প্রেস সচিব জানান, ২০২৪ সালে একটি প্রাথমিক নীতি প্রস্তুত করা হয়েছিল, যা পরে মূল্যায়ন করে দেখা যায় প্রত্যাশা পূরণে সফলতা ঘটেনি। subsequently, জনপ্রশাসন সচিব এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি কমিটি নতুন করে এই নীতির খসড়া তৈরি করে।

মূল লক্ষ্য হিসেবে বলে রাখা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে রেল ও নৌ পরিবহন খাতে অগ্রাধিকার দিয়ে লজিস্টিকস খাতকে উন্নত ও যুগোপযোগী করা। দেশের প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া, সরকার ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে, যার মাধ্যমে এই খাতকে একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে রূপান্তর করা হবে। এতে শুল্ক, ফি, কাগজপত্রসহ সব কার্যক্রম ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন হবে।

প্রধান উদ্দেশ্য হলো—আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে বিভিন্ন শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধাগুলো ধীরে ধীরে কমে যাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে, যা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রপ্তানি খাতের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি, যার জন্য এই নীতিটি ভূমিকা রাখবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo