1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

আশুলিয়ায় পড়ে থাকা ৭.৬২ লেখা গুলির রহস্য উদঘাটনে বিচার চলছে

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের জেরে আশুলিয়ায় সংঘটিত এক নৃশংস ঘটনার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তদন্তে জানা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন অজুহাতে লুকানো ওই ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্গত। সাবেক একজন সংসদ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করেছেন সিআইআরের এসআই মো. আশরাফুল হাসান।

29 অক্টোবর বুধবার, ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই মামলার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এদিন সকাল সোয়া এগারোটার দিকে আশুলিয়া থানার এসআই আশরাফুল আদালতে উপস্থিত হন। তিনি জপে শপথ নিয়ে জব্দতালিকা অনুযায়ী সাক্ষ্য দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ১৪ এপ্রিল এই বছরের ঘটনাপ্রবাহে, থানার ওসি বেতার বার্তায় জানান, আশুলিয়া থানার পশ্চিম পাশে মনির ও লতিফ মণ্ডলের পুরোনো টিনশেড বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভিতরে গুলি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ৬টি রাইফেলের গুলি ও এক চার্জার উদ্ধার করেন। পেটেন্ট ইংরেজি ভাষায় লেখা ফলকদের মধ্যে ‘৭.৬২’ উল্লেখ ছিল।এই ধারালো অস্ত্রের গুলিগুলো জব্দতালিকা মূলে নিয়ম অনুযায়ী কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, কনস্টেবল মো. মামুনুর রশিদও ঐ জব্দতালিকার সাক্ষী। এই আলামত পরে থানায় সংরক্ষিত হয়। তারপর, তিনি তার কর্মকর্তার নির্দেশে ঐ আলামত আত্নসাৎ করে তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দেন।

সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষ হওয়ার পরে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই জবানবন্দর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ মামলার গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলরা। আজকের দিনে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। তবে আরও আটজন—তথ্যপ্রমাণিতভাবে এসেছেন পলাতক আছেন।

গত বছর ৫ আগস্ট, আশুলিয়ার একটি পুলিশের গুলিতে ছয় তরুণ প্রাণ হারান। পরে পুলিশ তাদের লাশ তুলে এনে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় একজন জীবিত ছিলেন, যাকে জীবিতই পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পেট্রোল ঢেলে এন্তেজাম করে তাদের জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারার বর্বরতাজনক এই ঘটনার বিচার চলছে। এর প্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo