1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

ইয়াসিরের ঝড়ে চট্টগ্রামের দাপট, খুলনা সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১২

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

উইকেটে সুবিধা ছিল বোলারদের জন্য, তবে সেই সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেননি তরুণ বোলাররা। পাশাপাশি রাজশাহীর ফিল্ডিংও ছিল খুব ভালো নয়, ক্যাচ হারানো এবং স্টাম্পিংয়ের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি তারা। এইসব ব্যর্থতার মধ্যে দাঁড়িয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরির অসামান্য সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম। দু’টি সেঞ্চুরির পরও প্রথম দিন শেষে তাদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায়। রাজশাহী বিভাগের স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম করেছিল ৪০১ রান। জবাব দিতে নামা রাজশাহীর শুরুটা ছিল অনুকূল নয়; হাসান মুরাদের বাঁহাতি স্পিনে মাত্র ৫ ওভারে তারা হারিয়েছে ২ উইকেট। প্রথমে হাবিবুর রহমান সোহান ১ রান করে ফিরে যান, আর নাইটওয়াচম্যান শফিকুল ইসলাম chưa খোলেন রানের খাতা। সাব্বির হোসেন ও রাহিম আহমেদ ক্রিজে থাকলেও কেউই রানের দেখা পাননি। এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই অঙ্কে পৌঁছান সাদিকুর রহমান, মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন। তবে চাপ বাড়তে থাকায় এগিয়ে যান জয় ও ইয়াসির। সাবলীল ব্যাটিংয়ে তারা বাড়ান রানের গণ্ডি। ৮৩ বলে জয় পৌঁছান পঞ্চাশে, আর ১৩৮ বলে তিনি করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে এটি তার একাদশতম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে ইয়াসির ৬৪ বলে পাঞ্চাশ ছাড়িয়ে যান, ১০২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছান। এই সময় তিনি করেন ১২৯ রান, যা তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একাদশতম সেঞ্চুরি। জয় ও ইয়াসিরের জুটি ২২১ রানের বেশি এগোতে থাকলেও শেষমেশ তাইজুলের বলের লাইন ভেঙে পড়ে। জয় শেষ পর্যন্ত ১২৭ রান করেন, যেখানে তার ছয়টি ছক্কা ও চৌদ্দটি চার ছিল। এরপর দ্রুতই ইয়াসিরের আউট হয়। তিনি ১৩৮ বলে ১২৯ রান করেন, ছয় ছক্কা ও দশ চারে। ইনিংসের শেষদিকে ইরফান শুক্কুর ৭২ রান করে যান, যা তিনি ৬৩ বলে ছক্কা ও চার মেরে করেন। অন্যদিকে, চট্টগ্রামের ইনিংস বেশিদূর যেতে পারেনি; ৩৪ ওভারে চার উইকেটে ১৫৯ রান করে তারা। তাইজুল ও সুজন হাওলাদার দুটি করে উইকেট নেন। খুলনা বিভাগে দুর্দান্ত শুরু করেছেন জিয়া ও পারভেজ। অধিনায়ক এনামুল হক ও সৌম্য সরকার ফিরেছেন, তবে তারা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইমরানউজ্জামন ও নাহিদুল ইমলামও কিছুটা মানিয়ে নিয়েছেন। ১৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে সংকটের মুখে পড়েছে খুলনা; কিন্তু জিয়া ও পারভেজের জুটিতে দল দ্রুত ৩১২ রান পর্যন্ত پہنچিয়েছে। পারভেজ ক্যারিয়ার সেরা ৭২ রান করেন, অপরদিকে জিয়া ৬৯ রানে খেলছেন এখন। পারভেজ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় পঞ্চাশ পেলেন, তার প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা এখনো পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দিন শেষ করেন, যেখানে মইন ও রুয়েল তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo