1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

সাইফ-সৌম্যে ঝড়ের পরও বাংলাদেশ তিনশ ছুঁতে পারেনি

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই ছিল তুলনামূলকভাবে কম স্কোরিং, ব্যাটারদের জন্য রানের জন্য বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে আজ মিরপুরের স্পিন স্বর্গে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখিয়ে দলের ধারাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের রেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের ভিত্তি সৃষ্টি করে। তবে মিডল অর্ডারে কিছু দুর্বলতা থাকায় রানের গতিতে ধীরগতি দেখা যায়, ফলে ৩ নম্বর ইনিংসেও তিনশ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

মিরপুরের কালো পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশিরা ব্যাটিংয়ে প্রচুর সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আজ সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া বাংলাদেশি দের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন সাইফ ও সৌম্য। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে আজ তারা আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং পাওয়ার প্লে’য় ১০ ওভারের মধ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৪ রান সংগ্রহ করেন।

এবার ক্যারিবীয় দলের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে সেঞ্চুরির আশার সঙ্গে। আগের ম্যাচগুলোতে রক্ষণশীল খেললেও আজ তারা আক্রমণাত্মকভাবে খেলেন। দুই ওপেনার শুরু থেকে লড়াই চালিয়ে যান। তাদের ফিফটির পাশাপাশি, শুরুতেই তারা বেশ দাপুটে ব্যাটিং করেন। উভয়েই শতরানের ওপেনিং জুটির মাধ্যমে দারুণ এক ভিত্তি গড়ে দেন। এটি ছিল গত দুশো দশ বছর পর মিরপুরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশর প্রথম ওপেনিং জুটিতে শতরান।

এর আগে ২০১৫ সালে ১১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস গড়ে তুলেছিলেন ১৪৭ রানের জুটি, যা ভেঙে যায় দলীয় ১৭৬ রানে। সেই সময় সাইফ হাসান ৭২ বলে ৮০ রান করে আউট হন আর সৌম্য ঠিক তার পরেই ফিরে যান। তিনি ৯১ রান করতে ৮৬ বল ব্যয় করেন।

সৌম্য ফিরে যাওয়ার পরে ক্রিজে তাওহিদ হৃদয় এবং নাজমুল শান্ত যুক্ত হয়। তারা একসঙ্গে ৫০ রান যোগ করেন। তবে রান করার গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ক্যারিবীয় বোলারদের দৃষ্টিতে খেলে ৪৪ বলে ২৮ রান করে হৃদয় আউট হন। এর পরে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের কাছাকাছি যাওয়া শান্ত ৫৫ বলে ৪৪ রান করেন। শান্ত ফিরে যাওয়ার পর অঙ্কণ, রিশাদ, নাসুমও দ্রুত ফিরে যান। শেষের দিকে ক্যামিও হিসেবে নুরুল হাসান সোহান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখান।

তিনিও মাহেদী মিরাজের সঙ্গে মিলে ২৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন। তারা একছোপে ব্যাট করে ১ চার ও ১ ছয়ে ৮ বলে ১৬ রান করেন। এই ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এটি ছিল সিরিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়ের জন্য বাংলাদেশের জন্য এক রেকর্ডের মতো।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo