1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের নিয়েই হবে বিসিবির নির্বাচন, ১৯১ কাউন্সিলর মনোনীত

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের জন্য ১৯১ জন কাউন্সিলর তার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে শুক্রবার। এই নির্বাচন আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রসেস মান্যতা পেতে শনিবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিসিবি কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে তালিকাটি টাঙানো হয়।

অন্যদিকে, অপ্রীতিকর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতির সময়। অভিযোগ উঠেছে, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কিছু সুবিধা পেয়ে তৃতীয় বিভাগে উঠে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের রয়েছেন চূড়ান্ত তালিকায়। এই ক্লাবগুলোর মনোনয়ন নিয়ে দুদক তদন্ত চালাচ্ছে। তবে জানতে পাওয়া গেছে, নরসিংদী জেলার কাউন্সিলর পদ শূন্য রয়ে গেছে; এই শূন্যস্থান আগে থাকতেই ছিল।

চূড়ান্ত তালিকায় এখন যোগ হয়েছে সেই ১৫টি ক্লাব, যেগুলো আগে খসড়া তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে বাদ পড়েছিল। এই ক্লাবগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ ছিল দুর্নীতি ও অনিয়মের, এর জন্য দুদক তদন্ত করছে। এছাড়া, সিলেট, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ জেলা থেকে নতুন কাউন্সিলর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার কমিশন খসড়া তালিকার বিরুদ্ধে ৩৮টির বেশি আপত্তির শুনানি নেন। এতে প্রমাণিত হয়, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষরিত এই তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা আরও এগিয়ে গেল।

প্রসঙ্গত, এর আগে নাজমুল হাসান বিসিবি সভাপতি থাকা সময় বিতর্কিত ১৮টি ক্লাব তৃতীয় বিভাগে স্বভাবতই উঠে এসেছিল নাটকীয় পন্থায়। খুব কম ক্লাবই তখন তৃতীয় বিভাগে যেতে পারত। এমনকি, এন্ট্রি ফি বাড়ানোর কারণে অনেক ক্লাবই আর তৃতীয় বিভাগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। বোর্ডের কাছের কিছু ক্লাব অতি সহজে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতো, এবং তারা শীর্ষে উঠত। এসব ক্লাবের মাধ্যমে বোর্ডের ভোটের সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে নানা অপকৌশল চালানো হতো।

দলের মালিকানাও বদলে গেছে, যখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তখন যারা অবৈধভাবে ক্লাবগুলোকে তৃতীয় বিভাগে প্রবেশের সুবিধা করেছিলেন, এখন অনেক তারই মালিকানায় রয়েছে। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি ছিল অনিয়মের মাধ্যমে সম্পন্ন। এ কারণেই বিসিবির নির্বাচন কমিশন ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খসড়া তালিকায় এই ক্লাবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। তবে, ক্লাবগুলো আপিল করতে পারত।

অবশেষে, দুই দিনের শুনানি শেষে, আজ প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় সব বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে, ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে যুক্তি তুলে ধরা হয়, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায়, নির্বাচন কমিশন তাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।

তিন জেলাযোগে, নরসিংদী, সিলেট, নওগাঁ, বগুড়া, ও পাবনা আরক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর ছিলেন না, এখন তারা শূন্য পদের পরিষ্কার হয়ে গেছে। অতিরিক্ত, তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে আনীত আপিলও গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে, ওল্ড ডিওএইচএসের কাউন্সিলর তামিম এবং রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির ফারুকের নামও চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তামিম এখনও সাবেক ক্রিকেটার নন এবং তিনি ক্লাবের কাউন্সিলর হওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের পর ফর্ম জমা দিয়েছেন। তবে, নির্বাচন কমিশন এই আপিল গ্রহণ করেনি, কারণ তাদের বিবেচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

নির্বাচনের তারিখ হলো ৬ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বিতরণ হবে শুক্রবার এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন রোববার। পুরোটাই এখন শেষ ধাপে পৌঁছেছে, যেখানে বিতর্ক আর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সব বরাদ্দ আছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo