1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

অর্থ উপদেষ্টার দাবি: পুঁজিবাজার থেকে সবসময় লাভ হবে না

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সতর্ক করে বলেছেন, পুঁজিবাজার থেকে সবসময় লাভের আশা করা ভুল। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে, শেয়ার ও বন্ড কেনা মানে নিঃসন্দেহে নিয়মিত আয়ের উৎস, তাহলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। মূলধনী বাজারে যেমন মুনাফার সুযোগ রয়েছে, তেমনি ক্ষতির ঝুঁকিও থাকা সম্ভব। এজন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হতে হবে যে, শেয়ার বা বন্ড কেনা মানে সম্ভাব্য ক্ষতিও ভাগ করে নিতে হয়।

তিনি এই কথা বলেন সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব ক্ষেত্র, অবকাঠামো সরবরাহ এবং ইসলামী মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে মূলধন বাজার এখনও যথোপযুক্তভাবে উন্নত হয়নি। সরকারী বন্ডের সেক্টরে কিছু অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ খুবই কম, আর শেয়ারবাজারও প্রায় নগণ্য। ফলে বড় প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে ঝুঁকি ভাগাভাগি না করে শুধু ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এর ফলে ঋণখেলাপি এবং তহবিল অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে, যা দেশের জন্য বড় ষড়যন্ত্রের নাম। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঝুঁকি কমানোর জন্য মানুষের বন্ড, ডিবেঞ্চার ও শেয়ার কেনায় উৎসাহিত করতে হবে। ব্যাংক থেকে শুধুমাত্র ঋণ গ্রহণ এবং সেগুলো ভুল খাতে ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। ফলে মূলধনী বাজারে বেসরকারি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি, কারণ বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে, এখানে ঝুঁকি থাকলেও সম্ভাব্য লভ্যাংশও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সুকুক বাজারে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড রয়েছে, তবে সেগুলো মূলত শিক্ষা ও স্যানিটেশন খাতে ব্যবহৃত হওয়ায় আয়ের হার কম। যদি এই বন্ডগুলো উৎপাদনমুখী বেসরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে লাভ হবে ও ব্যাংকের চাপ কমবে। সুকুক অবশ্যই প্রকৃত সম্পদভিত্তিক হতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীর আস্থা তৈরি হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে এখনও সিকিউরিটাইজেশন কার্যকরভাবে চলে আসেনি। বড় বড় প্রকল্প যেমন মেট্রোরেলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এছাড়া, পেনশন ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এগুলো সরকারিক দায়ী।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মূলধনী ও সুকুক বাজার নয়, বীমা বাজারের উন্নয়নেও নজর দিতে হবে। একইসঙ্গে কর কাঠামো ও প্রণোদনা সংস্কার করে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

সেমিনারে মূল বক্তব্য রাখেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ প্রমুখ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo