ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে উমামা ফাতেমা ও আল সাদী ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নতুন একটি ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এক সর্ম্মেলনে এই প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
এই প্যানেলের প্রার্থী নেতাদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে দাঁড়াবেন উমামা ফাতেমা, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া। তিনিও ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও পাঠচক্র ‘গুরুবার আড্ডা’ সংগঠক জাহেদ আহমদ।
অন্যান্য পদে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন: মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মমিনুল ইসলাম (বিধান), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান নিঝুম, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত জাহান নিসু।
সদস্য পদে রয়েছেন নওরীন সুলতানা তমা, আবিদ আব্দুলাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের (তুফান), আব্দুল্লাহ আল মুবিন (রিফাত), অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ আরমান, মো. মুকতারুল ইসলাম (রিদয়), হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক রাফি, মো. সজিব হোসেন ও সাদেকুর রহমান সানি।
উমামা ফাতেমা এ প্যানেল ঘোষণা করেন। এতে প্যানেলে পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী, দু’জন আদিবাসী এবং ছয়জন নারী রয়েছেন।
উমামা ফাতেমা বলেন, ‘নানান চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আজ আমি একটি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপির দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। ক্যাম্পাসে আমি বিভিন্ন বছর অতিবাহিত করেছি। প্রথম বর্ষেই আমি ডাকসুতে নির্বাচনী প্রার্থী হিসাবে অংশ নিই। প্রথমে কবি সুফিয়া কামাল হলে পাঠচক্রের জন্য দাঁড়াই, কিন্তু ফলাফল হয়নি। তবে এই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এর পরে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনাসহ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার চেষ্টা করেছি। আমার গণরুম ও গেস্টরুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই প্রচেষ্টা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের বোঝাতে চাই যে, তাদের কণ্ঠস্বর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা তাদের ভোটে যেন মানসম্মত পরিবর্তন আনতে পারি।’