1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারির বিভাগের একটি ভ্যাট থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৩ হাজার লিটার ডিএস স্পিরিট গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মদ তৈরির এ কাঁচামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদয় ডি এস স্পিরিট এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।

কেরুর ডিস্টিলারি বিভাগের বন্ডেট ওয়্যারহাউজের সহকারী ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ডি/এস গোডাউন, ডি এস স্পিরিটের ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউন সরজমিনে গভীরতা ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ রয়েছে ৩৫ হাজার ৫১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৭১১ দশমিক ৫৫ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ রয়েছে ৪ হাজার ৮০৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৭৩ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে। তিন গোডাউনে বাস্তবিক মজুদ অনুযায়ী ১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটারের বেশি মালামাল কম থাকায় তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হিসাবের গরমিল থাকায় গত ২ মে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ডিস্টিলারি বিভাগের বন্ডেড ওয়্যারহাউস (ডিস্টিলারি ভান্ডার) বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কে এম সাজেদুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর সাহেব দর্শনার দায়িত্ব বুঝে না নিয়ে কেরুর শ্রীমঙ্গল ওয়ারহাউজে গিয়ে বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন, আর উল্টাপাল্টা কথা বলছেন, যা সঠিক না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। বড় হাউজে ২/১শ লিটার সটেজ থাকতেই পারে।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ডিস্টিলারি বিভাগের বন্ডেড ওয়্যারহাউস (ডিস্টিলারি ভান্ডার) থেকে কিছু মালামাল সটেজ হওয়ার অভিযোগে চিনিকল কর্তৃপক্ষ মিলের জি এম (প্রশাসন)কে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত টিম করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এ কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo