1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শনি বা রোববারের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হতে পারে। এর আগে কাল বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেবেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের মতো ‘বিশেষ’ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হবে। মন্ত্রিসভার কলেবর সামান্য বাড়তেও পারে। কারণ, এবার দলের বিপুলসংখ্যক নেতা বিজয়ী হয়েছেন, মন্ত্রিসভায় মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের একটি করে পদ বহাল থাকছে। জাতীয় পার্টি এখনকার মতোই একই সঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলে থাকতে পারে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সংসদ নেতা জানেন মন্ত্রিসভায় কে বা কারা থাকবেন। এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য ৫৩। তাঁদের মধ্যে নির্বাচনের আগে ৪ জন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা বাড়তে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখও আসবে। আলোচনায় আছেন চট্টগ্রামের এক নেতা। প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের দু-একজনের পদোন্নতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুরোনোদের মধ্যে থেকে বাদ দেওয়া এবং নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করার কাজটি বেশ জটিল হবে।

বেশি আলোচনা হচ্ছে অর্থমন্ত্রী নিয়ে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি এবং তিনি অর্থমন্ত্রী থাকছেন না, এটা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। তবে গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আরও এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান। এখন নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুজনের নাম আলোচনায় আছে।

সরকারের সফল মন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় থাকা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী একই মন্ত্রণালয়ে থাকতে পারেন বলেও আলোচনা আছে। বয়োবৃদ্ধ এবং প্রবীণ দু-তিনজন মন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন।

জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গত সোমবার বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদ সচিবালয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রিসভার গঠন সম্পর্কে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত পাননি।

নবনির্বাচিত সাংসদদের গেজেট গতকাল রাতে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান।

এদিকে নবনির্বাচিত সাংসদেরা ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সাংসদদের শপথ হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হতে পারে।

বেশি ভোটে জয়
আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরঙ্কুশ জয় পেলেও কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় এ নিয়ে দলে অস্বস্তি আছে। প্রভাবশালী পশ্চিমা প্রচারমাধ্যম এ নির্বাচনের নানা অনিয়ম তুলে ধরে সরকারের সমালোচনাও করছে। তবে সরকার গঠন হলে এই অস্বস্তি কেটে যাবে। ইতিমধ্যে ওআইসি, সার্ক ও ভারতের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রশংসা এসেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অভিনন্দনবার্তাও অস্বস্তি কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকেও অনুরূপ শুভেচ্ছা বা অভিনন্দনবার্তা আশা করছে সরকার।

আওয়ামী লীগ এবার ২৬০ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বাদে দলের সব প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। তবে ভোটের ব্যবধান এত বেশি যে অতীতের কোনো নির্বাচনে এতটা ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হননি। বৃহত্তর ফরিদপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অতীতে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

এই বিপুল বিজয়ের পরও তা উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর পেছনে মূল কারণ, উদ্যাপন করতে গিয়ে নেতা-কর্মীরা বাড়াবাড়ি করতে পারেন, এ থেকে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে, জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই উদ্যাপনের চেয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের ওপর মানুষ যে বিপুল আস্থা রেখেছে, এর প্রতিদান দেওয়া তাঁদের কাছে বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেবে। মানুষ যে ভুল করেনি, এটা পুনরায় প্রমাণ করবে পরবর্তী সরকার।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo