1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল ৫৪ জন প্যারাট্রুপার একসঙ্গে পতাকা হাতে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ১৬ ডিসেম্বরের প্রতিশ্রুতির পরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আসিফ নজরুল রিজওয়ানা হাসানের মন্তব্য: স্বাধীনতার পর থেকেই গড়ে তোলার প্রত্যাশা ছিল গণতান্ত্রিক সমাজের শেখ হাসিনার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে প্রসিকিউশন ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স روانাপন আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চেয়ে রিট খারিজ বিজিবি নিশ্চিত নয় হাদির হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়েছে কি-না ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা

এশিয়া কাপ যুবদলে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বপ্নভ্রমণ শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। আফগানিস্তানকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় জয় সংগ্রামের ধারা শুরু করে বাংলাদেশি যুব ক্রিকেটাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামেন তারা নেপালের বিপক্ষে। যেখানে আগে বল হাতে নেমে ১৩০ রানে পুরো নেপালি দলের ইনিংস গুটিয়ে দেন বাংলাদেশিরা। সহজ লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের যুবরা সফলভাবে ৭ উইকেটের জয় লাভ করে, বলের পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫১ বল হাতে রেখে ম্যাচটি সম্পন্ন করে।

দুবাইয়ের সেভেনস স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এই সিদ্ধান্তের সঠিকতা পুরোপুরি দেখিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা, যারা শুরু থেকে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান।

নেপালের শুরুটা কিছুটা চনমনে হলেও খুব দ্রুতই ধসে পড়ে। দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। তবে ১৮ রান করা সাহিল প্যাটেলকে আউট করেন সাদ ইসলাম। এর পরে নেপালের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বলের সামনে দাঁড়াতে পারেননি, ৫৪ থেকে ৬১ রানের মধ্যে পাঁচজন ব্যাটসম্যান ফিরে যান। উল্লেখ্য, ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ৬১ রানে নেপাল দলের পাঁচটি উইকেট পড়ে যায়। ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পরে দলটির ব্যাটিং ধস নামে, এবং স্কোর বাড়তেই থাকে উইকেট হারানোর ধারাবাহিকতা। অবশেষে, ১৩০ রানেই শেষ হয় নেপাল দলের ইনিংস। এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের বোলিংয়ে দারুণ পারফর্ম করেন সবুজ, যিনি নেন তিনটি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনার জাওয়াদ আবরার শুরুতেই আক্রমণ চালান। তবে শুরুটা ভালো হলেও চতুর্থ ওভারেই হঠাৎ বিপর্যয় ঘটে। ওই ওভারে রিফাত বেগ ও তামিম আউট হয়ে যান। রিফাত ৭ বলে ৫ রান করেন এবং তামিম মাত্র ১ বল খেলেই ১ রান করে ফিরে যান।

এর পরে জাওয়াদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কলাম সিদ্দিকী অ্যালেন। এক প্রান্ত ধরে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছিলেন জাওয়াদ, তার সাহসী খেলায় সহযোদ্ধা হিসেবে সফল হন কালাম। এই জুটির ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিয়ে আসে। চাপের মধ্যে থেকেও আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে খেলছিলেন জাওয়াদ। তিনি তুলে নেন এক অসাধারণ ফিফটি। এই ওপেনার আগের ম্যাচেও জয়ী রূপে দেখিয়েছেন তার দক্ষতা। শেষের দিকে কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।

শেষ পর্যন্ত, অপরাজিত থাকেন জাওয়াদ আবরার, যিনি ৬৮ বলের মোকাবেলায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার পারফরম্যান্সের সঙ্গে সহায়তা করেন রিজান হোসেন, ৮ বলে ১২ রান করেন। এই জয় নিয়ে বাংলাদেশ দল ১৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ শেষ করে। এই জয়ে তারা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আসরে নিজেদের শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo