1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
মোটরসাইকেল মালিক হান্নানের বিভ্রান্তিকর তথ্য: গুলির ঘটনায় অগ্রগতি সুদানে ইউএন ঘাটিতে হামলায় নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ ডিপ কোমায় থাকায় হাদির চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে নেওয়ার প্রস্তুতি উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২ হাদিকে গুলির ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মামলা লক্ষ্মীপুর নির্বাচন কার্যালয়ে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নলছিটিতে ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চোরের Brazen অপবিত্রতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হাদির পরিবারের সাক্ষাৎ, চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন, হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার আসিফ মাহমুদ সরকারের কঠোর কর্মসূচি দাবি করেছেন

তিন মাসে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৭৩৪ জন বেড়েছে

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় জুনে এই সংখ্যা বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও ৭৩৪টি বাড়তে সক্ষম হয়েছে। তবে একই সময়ে ব্যাংকগুলোর জমা টাকার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। আর সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টিতে। অর্থাৎ, এই তিন মাসে নতুন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যুক্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি। এ সময় ব্যাংকের জমা মোট টাকার পরিমাণও সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জুন শেষে আমানতের মোট পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষের দিকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। ফলে, এই তিন মাসে মোট আমানত বেড়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। তদন্তে দেখা যায়, মোট কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা জুন শেষে ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি। আর সেপ্টেম্বরের শেষে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। অর্থাৎ, তিন মাসে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৩৪টি। এর আগে মার্চের শেষে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি। কোটিপতি হিসাবগুলোতে জমা ছিল ৮৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা, কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষে এই জমার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮১৪ হাজার ৫৬২ কোটি টাকায়। এতে দেখা যায়, তিন মাসে মোট ৫৯ হাজার ২২০ কোটি টাকার মতন জমা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটিপতি হিসাব বলতে বোর্ডে থাকা ব্যক্তিরা নয়, বরং অনেক বেসরকারি, সরকারি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও কোটি টাকার বেশি আমানত রাখে। এছাড়া এক ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫জন। এরপর ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি, এবং ২০০৮ সালে তা পৌঁচেছ ১৯ হাজার ১৬৩টিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরও বেশি বাড়ছে। ২০২০ সালে কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি, ২০২১ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬টি, ২০২২ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি, ২০২৩ সালে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo