ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে বাধাগ্রস্ত করতে আরও ব্যাপক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টার্গেট কিলিং চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি এই মন্তব্য করেন রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শ্রদ্ধা জানানো শেষে।
নাহিদ বলেন, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশ হিসেবে কিছুজন টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দমন করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও জানান, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন, সরকার ও অন্যান্য অপ্রত्यक्ष সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলো চিহ্নিত করে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই ব্যক্তি হত্যাচেষ্টা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, নানা রাজনৈতিক দল এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের প্রতি দোষারোপ করছে। তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে যাতে বিভাজন না তৈরি হয়। জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে, কারণ না হলে ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো সুবিধা গ্রহণ করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য পরিবেশ ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, দেশের কিছু সুশীল বুদ্ধিজীবী যে ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে চলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষের অন্তর্নিহিত সম্মতি সৃষ্টি করতে হবে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে দুর্বল এবং বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে অস্থিতিশীলতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্তে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দিন স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা, শহীদ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর ও রায়েরবাজারের স্মৃতিসৌধে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া, এ দিন দুটি স্থান মানুষজনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, যেন সকলেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে।