1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
মোটরসাইকেল মালিক হান্নানের বিভ্রান্তিকর তথ্য: গুলির ঘটনায় অগ্রগতি সুদানে ইউএন ঘাটিতে হামলায় নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ ডিপ কোমায় থাকায় হাদির চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে নেওয়ার প্রস্তুতি উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২ হাদিকে গুলির ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মামলা লক্ষ্মীপুর নির্বাচন কার্যালয়ে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নলছিটিতে ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চোরের Brazen অপবিত্রতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হাদির পরিবারের সাক্ষাৎ, চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন, হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার আসিফ মাহমুদ সরকারের কঠোর কর্মসূচি দাবি করেছেন

প্রধান উপদেষ্টা নারীদের হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রতিবারের মতো এবারও নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার এবং নারী জাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার মহিলা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করেছে সরকার। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এসব মর্যাদাপূর্ণ পদক হাতে তুলে দেন।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে চারজন নারীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এসব পদক প্রদান করা হয়। এই বছর তাদের নাম হলেন: নারী শিক্ষায় গবেষণার জন্য রুভানা রাকিব, নারী অধিকার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার ক্ষেত্রে নিপা ইদ্রিস ও নারী জাগরণের লক্ষ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ঋতুপর্ণা চাকমা।

আজ ৯ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে বেগম রোকেয়া দিবস। এই দিনটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। তিনি একজন নারীর স্বাধিকার ও শিক্ষার সংগ্রামী রূপকার। ১৮৮০ সালে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক জমিদার পরিবারের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রোকেয়া, जो তার অমিত ব্যক্তিত্ব ও অসামান্য অবদানের জন্য আজো অনুপ্রেরণার स्रोत। ১৯৩২ সালে ৯ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তার পিতার নাম জহীরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের, যিনি আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তবে মেয়েদের শিক্ষায় তিনি কট্টর রক্ষণশীল ছিলেন। ছোটবেলায় কলকাতায় এসে একজন শিক্ষিকার সঙ্গে কিছু দিন লেখাপড়া করেছিলেন রোকেয়া, যেখানে তার শিক্ষার পথ শুরু। পরিবারের সমর্থনে তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষা দক্ষতা অর্জন করেন।

বিয়ে হয় ১৮৯৮ সালে বিহার অঞ্চলের ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে, যিনি একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও সমাজ সচেতন প্রগতিশীল ব্যক্তি। তার উৎসাহে বেগম রোকেয়া তার সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন, কিন্তু নারী শিক্ষার প্রচেষ্টায় মনোভাব পরিবর্তন করেন।

১৯০৯ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি ভাগলপুরে স্বামীর অর্থায়নে নারীদের জন্য সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এর কিছু বছর পরে কলকাতায় তিনি আরও একটি স্কুল চালু করেন। তার সংগ্রামী জীবন ও সাহিত্যকর্ম 시대ের প্রেক্ষাপটের বাইরে ছিল। এর প্রথম প্রকাশ ১৯০৩ সালে নবনূর পত্রিকায়।

বেগম রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে — মতিচূর, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, সুলতানার স্বপ্ন। এছাড়াও তার প্রবন্ধ, ছোট গল্প, কবিতা ও অনুবাদ অসংখ্য। তিনি ১৯৩২ সালে কলকাতায় মারা যান।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে দেশে ও রাজধানীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণীও দিয়েছেন। এটি নারীর অধিকার ও শিক্ষার অবদানে উৎসাহ দেয়ার এক উৎসবের দিন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo