যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করতে খুব কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি জানান, গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ইউএস-সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প বলেছেন, যখন তিনি জানতে পারেন যে ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার দিকে যাচ্ছিল, তখন তিনি তাদের বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনি যদি যুদ্ধ চালিয়ে যান, তবে আমি আপনার ওপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব। আপনারা একে অপরের উপর পরমাণু বোমা ছুড়তে পারবেন, মানুষের জীবন হারাবেন, আর সেই ধুলোবালি লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে— এটা অবশ্যই উচিত নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যখন এই হুমকি দিলাম, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ করতে রাজি। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীও আমাকে বলে যে, তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত।’
অভিনন্দনজনকভাবে, এই হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ بعد পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শান্তি ফেরানোর জন্য তারা আলোচনা করে এবং পাকিস্তানের সাথে সংলাপে বসে। পাকিস্তান প্রথমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক ছোট সেনা অভিযান চালায়, যেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যালয় ও ব্যাটেলিয়নের ওপর হামলা হয়, যার ফলে পাকিস্তানের ১৩ সেনাসদস্যসহ মোট ৫১ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হন। এরপর পাকিস্তান পাল্টা ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ নামে এক অভিযান পরিচালনা করে। এর ফলে ভারতে ৫ সেনা ও ১৬ জন বেসামরিক নিহত হন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ১২ মে ভারতের ও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা টেলিফোনের মাধ্যমে বৈঠক করে, এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। সেই সময় থেকে এখনও দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, ট্রাম্প আবার দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তানের সরকার এ দাবির সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে ভারত এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য প্রদান করেনি।