1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪ জনের মৃত্যু

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে অবৈধভাবে ইউরোপে যেতে চাচ্ছিলেন এমন অভিবাসীদের জন্য এটি এক হতাহতের দুঃখজনক ঘটনা। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি সহ কমপক্ষে চার জনের প্রাণহানি হয়। এই ঘটনার মধ্যে অন্য একটি আলাদা নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটেছে যেখানে অর্ধশতাধিক সুদানি ও অন্যান্য দেশের অভিবাসী ঝরেছেন প্রাণের ঝুকিতে। তবে সেই ঘটনায় হতাহত হয়নি।

ঘটনাটি ঘটে রোববার (১৬ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস শহরের উপকূলে। লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে এই নৌকাগুলোর উল্টে যাওয়ার খবর তারা পায়। প্রথম নৌকায় ছিল বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক, যাদের মধ্যে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য নৌকাতে ছিল মোট ৬৯ জন; এর মধ্যে দুইজন মিসরীয়, আরও ৬৭ জন সুদানি, যাদের মধ্যে আটজন শিশু। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জীবিতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহের মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করে।

লিবিয়া বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ইউরোপ যেতে অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এই দেশটি অভিবাসীদের জন্য একটি ট্রানজিট রুটে রূপ নিয়েছে। এখন সেখানে Sাআড়ে ৮ লাখের বেশি অভিবাসী অবস্থান করছেন। গাদ্দাফির পতনের পরে দেশটি নানা মিলিশিয়ার সংঘর্ষে জর্জরিত হয়েছে, এবং যেখানে সাধারণ অভিবাসীরা নিয়মিত নিপীড়ন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন।

অধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘ জানায়, লিবিয়ায় শরণার্থীদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন দিন দিন বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থের সহায়তা দিলেও, অভিযোগ উঠেছে যে এই কোস্টগার্ডের একজন অংশ ‘নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত’ মিলিশিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। এছাড়াও, ইউরোপের দেশগুলো নিখোঁজ উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়ায় সমুদ্রপথে যাত্রা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং দাতব্য সংস্থাগুলোর ওপর নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধা দিয়ে তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরো গুরুতর করে তোলা হচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo