1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না: জামায়াতের আমির

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না যদি জুলাই সনদকে বৈধভাবে স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে উল্লেখ করেন, আমাদের মূল দাবি হলো জুলাই সনদ ও বিপ্লবের স্বীকৃতি। প্রথমে এই সনদকে আইনি ভিত্তি প্রাপ্ত করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আইনি স্বীকৃতি ব্যতিরেকে কোন নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।

সমাবেশটি মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত হয়, যেখানে আটটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এই বছর, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন যে, এপ্রিলের বিপ্লবের স্বীকৃতি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন জরুরি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবার সম্মতি জরুরি। যদি সবাই একমত হয়ে গণভোটের জন্য পরিষ্কার তারিখ দেওয়া হয়, তাহলে আইনি ভিত্তি স্থাপন হবে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচন হবে সক্ষম ও বিশ্বাসযোগ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ফেব্রুয়ারির আগে রমضانুল রহমানের আগে অর্থাৎ শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অন্যথায় অন্ধকারে চলে যাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের আশা এবং দাবি পরিষ্কার—জুলাই সনদ ও বিপ্লবের স্বীকৃতি ব্যতীত কোনো নির্বাচন হবে না। সেই সঙ্গে উপস্থিত নেতারা বলছেন, জনগণের ঐক্য ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। ডা. শফিকুর রহমান সতর্ক করে বলেন, যারা এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত নন অথবা দাবির প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারছেন না, তাদের জন্য ভবিষ্যত ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা জনগণের মুক্তি চাই এবং তাদের স্বপ্নের আলো দেখে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের দাবিগুলো অক্ষুণ্ন থাকবেই। কারণ এগুলো জনগণেরই দাবি, কোনো দল বা ব্যক্তির নয়। এই দাবি যেমন বিপ্লবের জন্য, তেমনই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। জনগণ এই চাপাবাজি, অন্যায় ও অসাংবিধানিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছে।

আগামী দিনগুলোতে আরও কঠোর আন্দোলনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান এই নেতৃবৃন্দ। সামনের দিনগুলোতে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে।

এর আগে, মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জুলাই সনদকে কেবল কাগজের সনদ বলেই না, বরং ভবিষ্যতের রূপরেখা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এই সনদে দেশের মূল কাঠামো বদলের উদ্যোগ গৃহীত হবে, যাকে আইনি প্রতিষ্ঠা দিতে হবে। তিনি দাবি করেন, সময়ে সময়ে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সনদ গ্রহণ না করলে বাংলার মাটিতে অন্য কিছু হওয়া সম্ভব নয়।

জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অপরিহার্য। তিনি বলেন, এই মানদণ্ডে চললে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সূচী ঘোষণা সম্ভব হবে। এটি দেশের শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য আবশ্যক বলে তিনি উল্লেখ করেন। আর সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই বিশাল সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে এবং মুসলিম উম্মার ঐক্য ও দেশপ্রেমের প্রমাণ হিসেবে টিকে থাকবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo