1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

পিতার হত্যার পর মরদেহের পাশে বসে ছেলে স্মোকিং

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক অশান্তির জেরে গভীর রাতে এক বাবাকে কোদাল দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে তারই ছেলে। হত্যার পর সেই ছেলে বাবার মরদেহের পাশে বসে সিগারেট ধরিয়ে ছিলেন, যা ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।

রোববার (৯ নভেম্বর) শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। এরপর সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত মনির মিয়া (৬৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট থানার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক দিন আগে কাজের সন্ধানে পরিবারসহ মাদারীপুরের শিবচরে এসে একটি ভাড়াবাসায় থাকতেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোববার বিকেল থেকে পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনির মিয়া ও তার ছেলে ফারুকের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এরপর রাতে প্রায় ১টার সময় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, ঘুমন্ত অবস্থায় ফারুক পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবাকে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আশপাশের লোকজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় পরিবারের অন্য সদস্যদের, তারা দ্রুত বাইরে এসে পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পরে ফারুক মরদেহের পাশে বসে থাকলেও, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে কোদাল উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।

আসামীর বিরুদ্ধে নিশ্চিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত এখনও চলমান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo