1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

দুর্বল ৫ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) জানিয়েছে, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (বিআরও ২০২৫) অনুযায়ী দুর্বল অর্থনীতির পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন, যদি তাদের বিনিয়োগের যথাযথ ক্ষতি হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ‘বিআরও ২০২৫-এর ধারা ৪০ অনুযায়ী, যদি কোনও তফশিলি ব্যাংক রেজল্যুশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিণত হয়ে লিকুইডেশনের (বর্তমান অর্থে পরিসমাপ্তি) মাধ্যমে শেষ হয় এবং শেয়ারহোল্ডাররা রেজল্যুশন প্রক্রিয়ার কারণে লিকুইডেশনের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে তাদের ক্ষতির পরিমাণের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’

এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে একটি স্বতন্ত্র পেশাদার মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, যাকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেজল্যুশন শেষ হওয়ার পরে নিয়োগ করবে।

এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বিশেষ ক্ষতিপূরণও বিবেচনা করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এই বিধানটি আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। এতে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং ওইসিডির মত আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রযুক্তিগত সহায়তা ও মতামত অন্তর্ভুক্ত।

অধ্যাদেশে রেজল্যুশনের আওতায় থাকা ব্যাংকের বিভিন্ন দাবিদারর (যেমন আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডার) অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে রেজল্যুশন প্রক্রিয়া চলমান ব্যাংকগুলো বড় পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের নিট সম্পদ মূল্য (নিট অ্যাসেট ভ্যালু বা এনভি) ঋণাত্মক।

এই আর্থিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, বিআরও ২০২৫-এর ধারা ৪২ অনুযায়ী গঠিত ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (বিসিএমসি) ২৪ সেপ্টেম্বর একটি সভায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এই পাঁচটি ব্যাংকের রেজল্যুশন প্রক্রিয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকের ক্ষতি বহন করবেন।

রেজল্যুশন টুলস ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাসমূহের অধীনে বিভিন্ন অংশীদারদের ওপর ক্ষতি আরোপের ক্ষমতা রাখে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অতিরিক্ত টিয়ার ১ মূলধনধারী, টিয়ার ২ মূলধনধারী ও সাব-অর্ডিনেটেড ডেট হোল্ডার।

বর্তমানে, এই পাঁচটি ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ বিবেচনায়, সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণের কোন সুযোগ বর্তমানে নেই। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে, যেখানে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

সূত্র: বাসস

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo