1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

পাঁচ দফা দাবি মানা না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত গণভোট ও জুলাইয়ে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আন্তঃসরকারি সংলাপের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এতদসত্ত্বেও যদি এই দাবিগুলি মানা না হয়, তাহলে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাইয়ের সনদ বাস্তবায়ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আশু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকার চিত্র নতুন করে বদলে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’ এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে।

এর আগে ওই দাবিগুলোর জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার পরে, সেখানে তিনি বলেন, ‘উচ্চ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। তার আগে আমাদের দাবি মানা প্রয়োজন।ósitos নির্দেশনাও প্রদান করা হবে।’

প্রতিটি দলের নেতা লিয়াজোঁ কমিটি গঠন ও সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানান। এর আগেই, উপদেষ্টা কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পর, বিভিন্ন দলের নেতারা ঢাকার জনগণকে মুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরসহ অন্য নেতারা বলেন, ‘জেলা ও মহানগরে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ১১ নভেম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি পালন করব। ঢাকা হবে জনতার শহর, দাবি আদায়ের জন্য লড়াই চলবে।’

এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও পল্টন মোড়ে জামায়াত ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার পর বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলের মাধ্যমে পুরনো পল্টনে একত্রিত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর দুপুর ১২:০৫ মিনিটে তারা যমুনা অভিমুখে পথযাত্রা শুরু করেন।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, নেজামে ইসলাম দলের মহাসচিব মুসা বিন ইহজার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে জুলাইয়ে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা, এর ওপর নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে পার্লামেন্টে বা উচ্চ পরিষদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি পদ্ধতি চালু, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব মানুষের জন্য সমান ব্যালেন্স তৈরি, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দ্রুত কাজ করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি যেন দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo