1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধে নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫

আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ডিজিটাল ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর), যা দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে অবৈধ ও ক্লোন ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই নতুন ব্যবস্থায় শুধু অনুমোদিত, বৈধভাবে আমদানি করা ও মানসম্পন্ন মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৈধ বলে স্বীকৃতি পাবেন। ক্লোন আইএমইআই ফোন বা অবৈধ ফোন কখনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না। একইসাথে, বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ক্রয় বা উপহারপ্রাপ্ত মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করতে হলে অনলাইন মাধ্যমে নিবন্ধন আবশ্যক হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, প্রথমে এই নিবন্ধিত হ্যান্ডসেটগুলো দেশের নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। তবে গ্রাহকদের জন্য SMS এর মাধ্যমে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা অনলাইনে সংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলোই নেটওয়ার্কে চালু থাকবে, অবৈধ বা ক্লোন ফোনগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের প্রথমে neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। এর পর ‘Special Registration’ বিভাগে মোবাইলের IMEI নম্বর দিতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট— যেমন পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন পাতা, ক্রয় রশিদ ও শুল্কের প্রমাণপত্র (যদি হয়)—স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্টসের সত্যতা অনুযায়ী সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যান্ডসেটের বৈধতা পরীক্ষা করবে। যদি বৈধতা পাওয়া যায়, সেটি নিবন্ধিত হয়ে নেটওয়ার্কে সচল হবে; অন্যথায় গ্রাহককে এসএমএসে জানানো হবে যে, এটি বৈধ নয় এবং নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে।

ব্যবহারকারীরা চাইলে মোবাইল অপারেটরদের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে সহায়তা নিতে পারবে।

নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা চেলে এভাবে:
– বিদেশ থেকে ক্রয় করা হ্যান্ডসেটের জন্য:
১. পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য পৃষ্ঠার ছবি
২. ইমিগ্রেশন সিলযুক্ত পৃষ্ঠার ছবি
৩. ক্রয় রশিদ
৪. শুল্ক প্রদানের প্রমাণপত্র (যদি একাধিক হ্যান্ডসেট হয়)
– উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের জন্য:
উপহারদাতা কর্তৃক প্রত্যয়পত্র প্রদান করতে হবে।
– এয়ারমেইলে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের জন্য:
১. প্রেরকের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি
২. প্রাপকের জাতীয় পরিচয়পত্র
৩. ক্রয় রশিদ
৪. শুল্ক প্রদানের রশিদ (যদি একাধিক হয়)

এছাড়া, বর্তমান ব্যাগেজ নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন অশুল্কে এবং অতিরিক্ত একটিতে শুল্কের মাধ্যমে আনতে পারবেন। তবে উল্লেখ্য, নিবন্ধন ছাড়া কোনো বিদেশি ফোন দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু রাখা সম্ভব নয়। বিটিআরসি নিশ্চিত করেছে যে, এই নতুন নিয়ম ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবৈধ ও ক্লোন ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে সুবিধা হবে এবং দেশের মোবাইল সেক্টর আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo