1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ ও ভবিষ্যৎ সংকট মুখে

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে ফেব্রুয়ারির মধ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবি করে থাকলেও, সেই অঙ্গীকার অনুযায়ী এগোতে মহার্ঘ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপির জন্ম ছিল ‘হ্যাঁ’ ভোটে। যদি তারা ‘না’ ভোটে কঠোর থাকে, তাহলে তাদের আত্মমর্ত্য ঘটে যেতে পারে ‘না’ ভোটের মাধ্যমে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপি একটি বড় দল; তাদের জন্য কোটেশন না দেয়ার এবং ‘না’ ভোট দিয়ে নিজেদের মৃত্যুর কবর খননের পথ না বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য জুলাই সনদ প্রয়োজন। অস্পষ্টতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে, যা জামায়াত ও বিএনপি’র কুতর্ক ও রটনার ফল। তিনি বলেন, এখনই গাজীপুর ও অন্যান্য স্থানে নির্বাচনের জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ড্রাফট প্রকাশ করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। তা না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারে এবং এর দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতৃত্বকে।

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির একত্রে থাকার প্রবণতা ও বিষয়ে মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট প্রশ্নে জামায়াত এক সময় বিএনপি’র সঙ্গী হবে। তারা দুই দল মিলে মতভেদ সৃষ্টি করছে, এবং এই অশুভ ধারা দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এসব দলকে মানি না। অনেকেই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের ৫ লাখ নেতা-কর্মীর প্রাণ যাবে, কিন্তু এত কিছুর পরও আমরা সেরকম কোনও ক্ষতি করিনি। তবে তারা যদি বাধা দেয়, কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব। বিএনপিকে বলব, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনতে দেবে না।’

নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বললেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কঠিন হয়ে পড়েছে। কমিশন যদি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত থাকে, তাহলে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের একাধিকার প্রয়োজন মুক্ত, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য।

তিনি আরো বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয় না, কারণ এনসিপি ওই সময়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করেনি। আজকের সময়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশনামার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন, কারণ এর বাইরে যাওয়ার কোনো পথ নেই।

ড. ইউনূসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা জোরালোভাবে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। পত্রিকার মাধ্যমে ড্রাফট প্রকাশের আহ্বান জানান, এতে সত্যতা ও বাস্তবতা থাকলে এনসিপি স্বাক্ষর করবে। অন্যথায়, অজান্তে যদি কিছু হয়, তারা এতে অংশ নেবে না।

অন্তর্র্বর্তী সরকারের লক্ষ্য ও উদ্যোগে নাগরিক ঐক্যসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অপ্রতুল ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে এগোচ্ছে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন, না হলে ভবিষ্যতে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে পারে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে স্বাধীন ও ভবিষ্যৎমুখী নির্বাচনী ব্যবস্থার নির্মাণ জরুরি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo