1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

পর্তুগালে বিতর্কিত নির্বাচনি পোস্টার ভাইরাল: ‘এটা বাংলাদেশ নয়’

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

পর্তুগালের কট্টর ডানপন্থি নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা এবং তার দল শেগার নতুন নির্বাচনি প্রচার এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মন্তিজো শহরের একটি বাসস্টপে ঝুলানো একটি বিলবোর্ডে বড় ছোট অক্ষরে লেখা ছিল, ‘Isto não é Bangladesh’ অর্থাৎ ‘এটি বাংলাদেশ নয়’। এই বাক্যটি স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। আরও একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জিপসিদের আইন মানতে হবে’, যা জেনোফোবিয়া এবং বর্ণবাদী রঙে রঙিন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই পোস্টার গুলোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে। ভেনচুরা নিজে এই পোস্টারগুলোর ছবি তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ওরা এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে পড়েছে। ১৮ জানুয়ারি আমরা এই দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করতে চলেছি। কোনো ভয় নেই!’। এই পোস্টার গুলোর বিতর্কের মাঝে মনোযোগ আকর্ষণ করছে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তবে এই বিতর্কের ব্যাপারে মন্তিজো শহরের মেয়র কার্লোস আলবিনো বলেছেন, ‘যখন বলা হয় আইন মানতে হবে, তখন সবাইকেই মানতেই হবে। এটি কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা দলের জন্য নয়। অভিবাসী হোক বা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য—সবাই আইন মানতে বাধ্য। আন্ড্রে ভেনচুরার মতো ব্যক্তিরাও আইন মানার বাইরে নয়। জেনোফোবিয়া ও বর্ণবাদ অপরাধ, আর তা আমরা মেনে নিচ্ছি না।’ মেয়র আরও উল্লেখ করেছেন, ‘এটি আইন লঙ্ঘনের শামিল, তাই নগর পরিষদ সরাসরি অভিযোগ দায়ের করবে না। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।’ অন্যদিকে, বাংলাদেশি সাংবাদিক ফারিদ পাটোয়ারি বলছেন, ‘অনলাইনে এই ধরনের বার্তা দেখা যায়, কিন্তু রাস্তায় পোস্টার থাকলে তার প্রভাব অনেক বেশি। এটি সহিংসতার আশঙ্কাও বাড়ায়। পর্তুগাল সাধারণত শান্তিপূর্ণ ও আতিথেয় দেশ হিসেবে পরিচিত, তবে এই ধরনের বার্তা প্রকাশ পেলে আমাদের উচিত দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’ বাংলাদেশের দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে প্রবাসীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। উল্লেখ্য, পর্তুগালে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুসা, লুইস মার্কেস মেন্ডেস, আন্তোনিও হোসে সেগুরো, আন্দ্রে ভেনচুরা, হেনরিক গোভেইয়া, জোয়াও কোট্রিম দে ফিগেইরেডো, আন্তোনিও ফিলিপ, ক্যাটারিনা মার্টিনস ও হোর্ঝে পিন্টোসহ আরও বেশ কয়েকজন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo