1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

ভারতে এআই দ্বারা তৈরি ছবি ও ভিডিও দ্বারা ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপতৎপরতা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি হওয়া ছবি ও ভিডিওগুলো মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ষড়যন্ত্র এবং সামাজিক বিভাজন বাড়ানোর নতুন опасতা তৈরি করেছে। এই সংক্রান্ত একটি ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা, সেন্টার ফর স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট (সিএসওএইচ), সম্প্রতি একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এআই এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের এক শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মুসলিমCommunity-targeted hateful content লক্ষ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩২৬টি এআই-সৃষ্ট পোস্ট, যা বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়ানো হয়েছে। এই পোস্টগুলো এক্স (টুইটার), ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের ২৯৭টি পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনের মূল লেখক ও নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ বলেন, ‘‘এটা শুধু বরফের নিচের ছোট অংশ, সমগ্র ভারতের ডিজিটাল পরিবেশের পরিধি অনেক বেশি বড় এবং জটিল।” তিনি জানান, এর আগের বছরগুলোতে এ ধরনের কার্যক্রম তুলনামূলক কম ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, সহজলভ্য এআই টুল যেমন স্টেবল ডিফিউশন, মিডজার্নি ও DALL•E ইত্যাদি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে পাওয়া যাচ্ছে। এই টুলগুলো দিয়ে তৈরি ছবি এখন মুসলিমদের ব্যক্তিগত করে তোলা, ষড়যন্ত্রমূলক ষড়যন্ত্র তত্ত¡ ছড়ানো, সহিংসতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন এবং নারীবিদ্বেষ ও ইসলামবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিশেষ করে, ভারতের মুসলিম নারীদের যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে এআই-সৃষ্ট ছবি ও কনটেন্টের প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো সাধারণ প্রতিবাদ বা ছোটখাটো সংঘাতকেও এখন সহজেই সা¤প্রদায়িক রূপ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, যেখানে যারা অপরাধমূলক বা ঘৃণার প্রচার করতে চায়, তারা এই এআই generated কনটেন্টগুলো ব্যবহার করছে।

এ কারণে বিশেষ করে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ ভারত এখনও এআই-নির্মিত মিথ্যা সংবাদ ও প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে কার্যকরী আইনগত ও সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ডিজিটাল প্রাইভেসি গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি বলেন, ‘‘এই ধরনের কনটেন্ট সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের মনোভাব ও বিশ্বাসের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।’’ তিনি আরও যুক্ত করেন, এআই-নির্মিত মিডিয়ার প্রভাব সরলরেখায় চলে না এবং এটা কিভাবে দেখি, কোন প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করি, তা দর্শকের মানসিকতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

সরকার যদিও এআই প্রযুক্তিকে ‘উন্মুক্ত ও সহজলভ্য’ করার পরিকল্পনা করছে, তবে কোদালি সতর্ক করে বলেন, ভুয়া তথ্য, মানহানি বা ঘৃণাবাদী বক্তব্যের মতো ইতিমধ্যে প্রচলিত ক্ষতিকর ভাষার সাথে এআই নতুন জটিলতা যোগ করেছে।

অতএব, গবেষণা সংস্থা সিএসওএইচ এর মূল সূত্রে বলা হয়েছে, মূল সমস্যা লুকিয়ে আছে এআই মডেল তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। তারা বিপুল পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত ডেটা, ঘৃণাজাত কনটেন্ট ও ষড়যন্ত্রমূলক ষড়যন্ত্রের তথ্য দিয়ে এসব মডেল প্রশিক্ষণ দেয়, যা ব্যবহার করে ক্ষতিকারক ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে।

প্রতিবেদনটি বেশ কিছু সুপারিশও প্রদান করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এআই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে ও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ, রিপোর্টিং ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে অপব্যবহার দ্রুত শনাক্ত ও রোধ করা যায়।

এই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে, ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্মগুলোর জন্য নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই জানাতে হবে, তাদের কনটেন্ট এআই-নির্মিত কি না। এটি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর এবং ক্ষতিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে ভারতের উদ্যোগের অংশ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo