1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির নামে ভয়াবহ গণহত্যার প্রস্তুতি সতর্কবার্তা

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দাবি করছে, যুদ্ধবিরতির নামে গাজায় আরও ভয়াবহ গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি। তিনি এক এক্সে পোস্টে বলেন, এখন পর্যন্ত গাজায় গত কয়েক দিনেই মারা গেছেন ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

লাজ্জারিনি জানিয়েছেন, আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দার উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এই পরিকল্পনাকে তিনি ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন। এটি খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবিক পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি দেখা যাচ্ছে। এর মাঝেই ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান এই নতুন সতর্কবার্তা দিলেন।

তিনি আরও বলেন, কাউকে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অনুমতি দেওয়া হয়নি। চলমান এই অপরাধের জন্য জবাবদিহি চাইতে হবে। জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন ইতিমধ্যেই বলছে, এখানে গণহত্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বারবার অপরাধ বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, লাজ্জারিনির এই সতর্কতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জাতিসংঘের এক উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা থেকে সবচেয়ে তীব্র সতর্কবাণী। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অন্ধকারের ছাপ ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অতীতে গত বুধবার ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছিল, ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ জনকে হত্যা করছে। পাশাপাশি অনাহার ও চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন।

জোটবিরতি ও মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি জোর দিয়ে বলেন, চলমান অপরাধের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নথিভুক্ত করতে হবে। মানুষের দুর্ভোগের কথা শুনতে হবে ও মনোযোগ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাজায় কোনো নিরাপত্তা নেই।

জেনেভায় ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি একেবারেই বিপর্যয়কর। তিনি বলেন, আকাশ থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে, যা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসেবে নির্বাচিত স্কুলগুলো নিয়মিত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। তাঁবু ও অন্যান্য আশ্রয়স্থলগুলোও বিমান হামলার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo