1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

নীলক্ষেত্রে আলোকপাত: অরক্ষিত পরিবেশে ডাকসুর ব্যালট ছাপা, গরমিল ও সংশয়

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিলক্ষেতের একটি অরক্ষিত পরিবেশে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউজ২৪। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গুরুতর সত্যতা সত্যও। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যালটগুলি গোপনীয় ও উচ্চ মানের ছাপাখানায় তৈরি হয়েছে, যা নীলক্ষেতের নয়। ঘটনার ধারাবাহিকতা ও সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অকার্যকরভাবে ও অবহেলায় নীলক্ষেতে ছাপানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, ছাপানোর সংখ্যা ও সরবরাহের তথ্যে ব্যাপক গরমিল দেখতে পাওয়া গেছে। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, গাউসুল আজম মার্কেটে এই ব্যালট ছাপানোর কোনো সুযোগ নেই, কারণ সেখানে এমন মেশিন থাকা অসম্ভব। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঢাকার গাজীপুরের একটি প্রেস জালাল প্রেস নামে একই প্রতিষ্ঠানের পরিচিত, যেখানে ব্যালট ছাপার কাজ হয়েছে। প্রেসের মালিক মোঃ জালাল জানান, তিনি নিশ্চিত করেছেন, তার প্রেস থেকে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট ছাপা হয়েছে। তিনি বলছিলেন, দায়িত্বরত কাজের জন্য তার সহকর্মী মোঃ ফেরদৌসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যারা তিন দিন সময়ে কাজ শেষ করেন। এইভাবে, তিনি বলছেন, তার প্রেসের পরিবেশ ছিল স্বাভাবিক, কোনো অরক্ষিত পরিস্থিতি ছিল না। এদিকে, মোঃ জালালের কাছ থেকে ৪৮,৬০০ পিস ব্যালটের খসড়া নেওয়া হয়েছে, যা দুইটি ব্যালটের প্রতিটি কাগজে ছাপা ছিল মোট ৯৬,০০০ ব্যালট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, মোট ভোটার ছিল ৩৯,৭৭৫ জন এবং ওই ভোটে ৭৮.৩৩% ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাটিংকৃত ব্যালটের বিষয়েও অনুসন্ধান চালায় নিউজ২৪। সেই সময়, ‘মাক্কা পেপার কাটিং হাউস’ নামে একটি দোকানে ফেরদৌস ভাই নামে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কাগজ কাটার কাজ হয়েছিল। তারা প্রায় ২২ রিম কাগজ কাটেছেন, যার ফলে মোট ব্যালটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৮,০০০। এরপর, জালাল প্রেস থেকে বলা হয়, তারা ছাপিয়েছে ৯৬,০০০ ব্যালট, যেখানে কাটিং হয়েছে ৮৮,০০০। এতে দেখা যায় দুই দোকানের মধ্যে ৮,০০০টির গরমিল। এই সব রসদ পেয়েও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ প্রত্যক্ষভাবে মেশিনের মূল্য ও স্বাভাবিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আঞ্জা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ব্যালট ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত মেশিনের দাম কম নয়, এর মূল্য কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ লাখের মধ্যে। তবে, জাহিদ হোসেন দাবি করেন, তার ব্যক্তিগত প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে ব্যালট, যার সংখ্যা অন্তত এক লাখ পঞ্চাশ হাজার। তিনি জানান, এই কাজ তাদের নিজের সক্ষমতায়, এবং তারা তা সম্পন্ন করেছে কেরানীগঞ্জের একটি প্রেস থেকে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকরা বিশ্লেষণ করছেন, আসল পরিস্থিতি কতটা জটিল ও সংশয়পূর্ণ। মূলত, এই ঘটনাগুলোর সপক্ষে প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদন্ত চালানো হবে, যেন এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo