1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

আসামিদের জামিনে মুক্তি পেলেন নবজাতকের মা ও নানি

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অবশেষে জামিন পেলেন ১৩ দিনের নবজাতকের মা শাহাজাদী ও তার নানি নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়, যেখানে বিচারক মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার তা অনুমোদন করেন। দুপুরের দিকে কারাগারে জামিনপত্র পৌঁছানোর পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। আইনজীবী শেখ রফিকুজ্জামান জানান, সকালে আদালতের প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণের পর খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন, যেখানে বিচারক বিশেষ বিবেচনা এবং একমাত্র তাদের মানবিক পরিস্থিতি দেখে বিনা জামানতে জামিন দেন। খুলনা কারা কর্তৃপক্ষের জেলার মোহাম্মাদ মুনীর হোসাইন জানান, জামিনের কপি আসার পর দুপুরের দিকে নার্গিস বেগমকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর প্রায় সোয়া ৩টা সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন শাহাজাদীকে মুক্তি দেওয়া হয়। জানা যায়, রোববার হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকা শাহাজাদীকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীন কবির তাকে আদালতে হাজির করেন। কিন্তু ওই সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় জামিনের শুনানি সম্ভব হয়নি, ফলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় তিনি নবজাতক সন্তানসহ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করে। সেখানে পৃথক কেবিনে চিকিৎসা চলতে থাকে। সোমবার শাহাজাদীর পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন করা হলেও নিম্ন আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। তবে মঙ্গলবার জামিন পাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শাশুড়ি বাড়ি থেকে তার কোনও খবর নেওয়া হচ্ছে না, যা তাকে খুবই হতাশ করে। এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপসা এলাকার একটি হাসপাতালে বাগেরহাটের রামপালের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহাজাদীর (৩৬) কোলজুড়ে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। পরিবারের আগের চার কন্যার সঙ্গে এবার পুত্র সন্তান শুভকামনা ছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির। কিন্তু ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যান সিরাজুল, এরপর আর খবর রাখেননি। পরিবারে চাপ ও হতাশার মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর একই হাসপাতালে চার দিন বয়সী এক নবজাতকের চুরি ঘটে। দ্রুতই সিসিটিভি ফুটেজ ও পুলিশের তৎপরতায় নবজাতকটি উদ্ধার হয়। পরিবারের কাছ থেকে শিশুটি ফিরে পাওয়ার পর তাকে জেলখানায় আটক করা হয়। কারণ, শাহাজাদী ও তার মাকে আসামি করে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলায় নার্গিস বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহাজাদী চিকিৎসাধীন থাকাকালে দাবি করেন, তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo