1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ: হেফাজতের হুঁশিয়ারি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি জারির নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই গেজেট যদি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে তারা রাস্তায় দাঁড়াবেন এবং গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।

তাদের মতে, ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং সঙ্গীত কোনও মৌলিক শিক্ষার অংশ নয়। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে, মুসলিম অভিভাবকদের মতামত না নিয়ে তাদের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত নিষিদ্ধ করা কতটা ঠিক? তাই তারা দাবি করেন, এই গেজেট যেন দ্রুত বাতিল করা হয়, এবং পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। অন্যথায়, তারা আরো উল্লেখ করে, দেশের মুসলিম শিশু-কিশোরদের ইসলামি মূল্যবোধ ও ঈমান রক্ষা করার জন্য বৃহত্তর ইসলামী জনতাকে সংগঠিত করে গণআন্দোলন গড়ে তুলবেন।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও অভিযোগ করেন, এলজিবিটি ও গানের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধ থেকে মুসলিম শিশুদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে, যা মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতি ও পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই এই ইসলাম বিরোধী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হচ্ছে, এবং এটি দুর্বল সরকারের অজান্তে বা ইচ্ছে করে চলছে।

নেতৃদ্বয় অবেদন করেন, প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি বহু পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয়ভাবে সঙ্গীত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া এখন এক প্রকার দেশের ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। পাশাপাশি তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার মানও দ্রুত উন্নত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের ছাত্রেরা মৌলিক বিষয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর না হন।

তারা উল্লেখ করেন, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেম শহিদ হয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। সরকারের কাছে তারা আশা প্রকাশ করে, শীঘ্রই প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষকদের নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করবেন। তাঁরা আরও বলেন, তারা চান না, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলেম-ওলামাদের মধ্যে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হোক। সংগঠনের বিবৃতিতে তারা সরকারের প্রতি এই আহ্বান প্রকাশ করেন যেন, যেন দ্রুত এই ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন হয় এবং দেশের আলেমদের মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo