1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ঠার প্রতিফলন জাতিসংঘে বাংলাদেশ: ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয় শেখ হাসিনার রায় ঘিরে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় আরও দু’জন ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার: র‍্যাব জামায়াতের দাবি: ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে সাংবাদিক মিজানুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই ময়মনসিংহে ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা, সাহসী প্রতিরোধে বড় ক্ষতি এড়ানো

গাজা শহরকে যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা দখলদার ইসরায়েলের, নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ হাজার

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

গাজা উপত্যকায় এক বড় যুদ্ধের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যখন দখলদার ইসরায়েল গাজা শহরকে সম্পূর্ণরূপে ঘোষণা করেছে যে এটি এখন ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে পরিচালিত হবে। শুক্রবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা সেখানে প্রাথমিক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আফিসিয়ালভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, এখন থেকে গাজা শহরে কোনও ত্রাণ সহায়তার জন্য বিরতি দেওয়া হবে না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি মুখপাত্র আভিচায় আদ্রি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি না। আমরা গাজা শহরে হামলার প্রাথমিক পর্যায় শুরু করেছি এবং এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে বৃহৎ শক্তি নিয়ে অপারেশন চালাচ্ছি।’ এর আগে মে মাসের শেষের দিকে গাজায় কৌশলগত বিরতি বাতিল করে ইসরায়েল। তখন তারা জানিয়েছিল, আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে গাজা সিটিতে আর কোনও বিরতি চলবে না এবং এটি এখন একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।

অতীতে, ইসরায়েল গাজায় কৌশলগত বিরতি ঘোষণা করে তখন বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে হামলা বন্ধ রাখত। কিন্তু এই ঘোষণা প্রকাশের পর থেকেই গাজায় সক্রিয় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আগস্টের শুরু থেকেই গাজা শহরের বিভিন্ন অংশে তারা বোমাবর্ষণ ও ট্যাংক অবস্থান করে রেখেছে।

এটির কারণে দিন দিন বেশির ভাগ নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষে মোট নিহতের সংখ্যা ৬৩,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক রাতে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং ২৪৪ জন আহত হন। নিহতের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৬৩৫২৫ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, গাজার হাসপাতালগুলোতে ব্যবহারে অনাহার ও অপুষ্টি পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের এই সময়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে মোট প্রাণহানি ৩২২ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১২১ জন শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সহায়তার জন্য চলমান সংঘর্ষে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২,০২০৩ জন নিহত এবং ১৬,২২৮ জন আহত হয়েছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ২৭ মে থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর পর থেকে প্রতিদিনই এই ত্রাণ কেন্দ্রের কাছাকাছি প্রাণহানির ঘটনাগুলি ঘটছে। এসব শনাক্তের পর অনেক এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo