1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

চীনকে পর্যাপ্ত চুম্বক সরবরাহের কথা না মানলে ২০০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনকে পর্যাপ্ত পরিমাণে চুম্বক ও অন্যান্য দুর্লভ খনিজ সরবরাহ করতে হবে। যদি তারা তা না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে বা অন্য কোনো কড়া পদক্ষেপ নেবে। এই মন্তব্য তিনি সোমবার (২৫ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে দেন, খবর রয়টার্সের ভিত্তিতে।

ট্রাম্পের ভাষ্য ছিল, চীন যদি আমাদের প্রচুর চুম্বক না দেয়, তাহলে আমাদের তাদের ওপর কঠোর শুল্ক চাপাতে হবে। এই হুঁশিয়ারি বিশেষ করে তখন এসেছে, যখন বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে চীন বিরল খনিজ ও চুম্বকের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করছে। এপ্রিলে চীন বিরল খনিজ ও চুম্বকের একাধিক পণ্য রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, যা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর পাল্টা জবাব।

অন্যদিকে, আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীন দুর্লভ খনিজের ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চীন রফতানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, যা বিশ্ব বাজারে চুম্বকের সরবরাহের প্রায় ৯০ শতাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। এই উপাদানগুলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, যেমন সেমিকন্ডাক্টর চিপে, ব্যবহৃত হয় এবং স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তিপণ্য তৈরিতে অপরিহার্য।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি ইন্টেল কর্পোরেশন তাদের শেয়ার ১০ শতাংশ কিনেছে, যা এই কোম্পানির অর্ধেকেরও বেশি নির্ভরশীল দুর্লভ খনিজের ওপর। এর ফলে, এই বিষয়ে জোড়ালো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে, চীনের বিরল খনিজের রফতানি জোরালোভাবে বাড়ছে, যা চীনা কাস্টমসের তথ্য থেকে জানা গেছে। জুলাই মাসে এই খনিজের রপ্তানি জুনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৪,৭০০ টনের বেশি হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এই চলমান শুল্ক বিরোধ মোকাবেলা করতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও পদক্ষেপগুলো আরো জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে। চলতি মাসের শুরুশতেই উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুটা সমঝোতার আভাস থাকলেও, ট্রাম্পের নতুন হুমকি পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।

সম্প্রতি, ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের উপর শুল্কের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়েছেন, যার মাধ্যমে তারা আলোচনার জন্য আরও সময় পাবে। যদি এই সময়সীমা না বাড়ানো হতো, তাহলে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারত।

এর আগে, মে মাসে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়, যেখানে শুল্ক হার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে আনা হয়েছিল, এবং যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের ওপর ৩০ শতাংশ আঘাত হানা নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিল। এখন পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠছে, কারণ এই বাণিজ্য বিরোধের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo