চলতি বছরের নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে দেশের অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। এই ক gegে এবার ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ও মডেল, নাদিন আইয়ুব। এটি প্রথমবারের মতো যে কোনও ফিলিস্তিনি সুন্দরী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন, যা অনেকের জন্য গর্বের বিষয়। বিষয়টি জানানো হয়েছে সিএনএনের মাধ্যমে।
মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন (এমইউও) এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের প্রতিযোগিতায় নাদিনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। আসরটি অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর মাসে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হবেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও বৈচিত্র্য উদযাপন করবেন।
নাদিন আইয়ুব একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আইনজীবী ও মডেল হিসেবে পরিচিত। তার শক্তি ও স্থিতপ্রজ্ঞার প্রতীক হিসেবেই তাকে বিবৃতিে তুলে ধরা হয়েছে। এ আসরে মোট ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে সুন্দরীরা অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ নভেম্বর, ব্যাংকক, থাইল্যান্ডে।
আবুধাবিতে বসবাসরত সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল উল্লেখ করেছে, ২০২২ সালে নিযুক্ত হন ফিলিস্তিনের মিস। তিনি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হতে চান। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। গাজায় একের পর এক হৃদয়বিদারক ঘটনার মধ্যে, আমি তাদের ভাষা ও শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবো। আমি প্রতিটি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর প্রতীক, তাদের কণ্ঠস্বর হতে চাই। বিশ্ব জানুক যে, আমাদের জীবন শুধু সংগ্রামের নয়, আমাদের মধ্যে আছে সহনশীলতা, আশা ও মাতৃভূমির জন্য গভীর আবেগ।’
ফিলিস্তিনের এই অংশগ্রহণ সেই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দায় বিপুল ঝড় চলছে। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও, এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে ১৪৫টির বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে, আর যুক্তরাজ্যও কিছু শর্তের ভিত্তিতে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে এগোবে।