বাংলাদেশ সরকার লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিতে পারলে বিশাল পুরস্কার ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ অর্থ পুরস্কার পাচ্ছেন। তিনি জানান, পুরস্কারের পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের জন্য বিভিণ্ণ। পিস্তল ও শটগান হলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা, চায়না রাইফেলে ১ লাখ টাকা, এসএমজি থাকলে পাবেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবং এলএমজি পেলে পুরস্কার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া, লুট হওয়া গুলির জন্য প্রতি গুলির জন্য ৫০০ টাকা পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে। যেকোনো তথ্যদাতা তার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বলেন, গত বছর গণআন্দোলনের পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ, ফাঁড়ি ও কারাগারভুক্ত গোপন গোষ্ঠী অস্ত্রের লুট করে। এসব অস্ত্রের মধ্যে কিছু ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া, এখনও প্রায় ৭০০ অস্ত্র উদ্ধার বাকি থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, সম্প্রতি গাজীপুরে পুলিশ কমিশনারের অঙ্গীকার ও রাস্তা বন্ধ করে চলাচলের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারের এই আচরণ অপ্রয়োজনীয় ও জনভোগের কারণ হয়েছে। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এছাড়াও, ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোল ও বিএসএফের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শেষে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। বর্তমানে মব সন্ত্রাস কিছুটা কমলেও তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচনকালীন সময়ে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। সরকারের লক্ষ্য—নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা—তার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।