নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিয়ে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার স্পষ্ট দাবি তুলেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং এটি জনগণের প্রত্যাশার সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, কমিশন বাগেরহাটের মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানে চারটি আসনই আগের মতোই বহাল রাখতে সক্ষম হবে।
আজ সোমবার, ২৫ আগস্ট, দুপুরে বাগেরহাট-৪ আসনের অবসান ও বেআইনিভাবে আসন কমানোর বিষয়ে শুনানির পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আইনজীবী জাকির হোসেন অভিযোগ করেন যে, কমিশন বাগেরহাটে কোনো কারণ বা আবেদন না থাকতেই এতে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মতে, এই জেলায় কোনো আবেদন বা আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও, সার্বজনীন সিদ্ধান্তে আসন সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তিনি বলেন, দীর্ঘ বিবেচনা এবং যুক্তি-তর্ক দিয়ে তিনি দাবি করেছেন যে, বাগেরহাটে চারটি আসনই যথাযথ ও ন্যায্য হিসেবে বহাল রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আজকের দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা-৩, ৪, যশোর-৩, ৬, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩; এরপর আড়াইটার দিকে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১, ২ ও ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮, ১৯, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান আসনের শুনানি চলবে।
পরবর্তী দিন, ২৭ আগস্ট, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও সিলেট অঞ্চলের দাবি ও আপত্তি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১, কুড়িগ্রাম-৪, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, পাবনা-১; বিকেল ২টে থেকে ৫টার মধ্যে টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২, কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট-১, ফরিদপুর-১ ও ৪, মাদারীপুর-২ ও ৩, শরীয়তপুর-২ ও ৩ এর শুনানি চলবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি ও আপত্তি জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে। এসব দাবি-অপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুলাই, নির্বাচন কমিশন ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য সীমানার নতুন খসড়া ঘোষণা করে। এতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে এবং বাগেরহাটের আসনগুলি থেকে প্রথমে চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে। মোট ৩৯টি আসনে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মাঝে আরও বিভিন্ন এলাকা ও আসনসংখ্যা উল্লেখ রয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্বের চারটি আসন ছিল: এমোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া, রামপাল ও মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা। তবে খসড়ায় এখন বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। নতুন প্রস্তাবনায়, বাগেরহাট-২ আসনে সদর, কচুয়া, রামপাল উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, আর বাগেরহাট-৩ তে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে নতুন দ্বৈততা প্রস্তাব করা হয়েছে।