আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিশিষ্ট সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি অপহরণ, গুম এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০১২ সালে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে গেলে অপ্রত্যাশিতভাবে তার গায়েবি হয় এবং পরে তিনি নিখোঁজ হন। কিছু সময় পরে জানতে পারেন, তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনায় তিনি জানান, তাকে একটি গাড়িতে পুরো দিন আটকে রেখে মারধর চালানো হয়। এরপর রাতের আঁধারে তাকে সীমান্তে নিয়ে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিএসএফ তাকে আটক করে দুই মাস ১৭ দিন গুম করে রাখে এবং পরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচ্ছিন্নভাবে ভারতীয় কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে প্রায় এক বছর কারাবাস করতে হয়। অভিযোগের পক্ষে তিনি মনে করেন, এই ঘটনাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রয়েছে। তাঁর আইনজীবী উল্লেখ করেন, মক্কেল কোনো অন্যায় করেননি, বরং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিস জানিয়েছে, এই অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সাক্ষ্য দিতে এসে সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ হন। পরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানা যায়, তাকে ভারতের একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ বছর নিখোঁজ থাকার পরে তিনি দেশে ফিরে আইনি লড়াই শুরু করেছেন, বিশ্বাস করেন এই ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি আশা করছেন, এই ঘটনা সরেজমিন তদন্ত ও বিচার পাবে এবং তার অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।