1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় গুলিবিদ্ধ হন জাকির

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

‘১২ দিন হতে চলছে আমার মানিক দুনিয়াতে নেই। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না এই অস্বাভাবিক মৃত্যু।’ এভাবেই বিলাপ করতে থাকেন কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত জাকির হোসেনের (৩৬) মা মোমেনা বেগম। 

১৯ জুলাই (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন জাকির। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়। জাকিরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভখা গ্রামে। পেশাই তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই নিজের কারখানার জন্য কোনাবাড়িতে কিছু মালপত্র কিনতে যান জাকির হোসেন। পরে দুপুরে একজন ক্রেতার সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীর উত্তরার দিকে রওনা হন। পথে আব্দুল্লাহপুরে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ঘটছে, এমন খবর জানিয়ে জাকিরকে সতর্ক করতে ফোন করেন মা মোমেনা বেগম। তখনই ঐ এলাকায় পুলিশ ও ছাত্র-জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পর পর দুটি গুলি এসে পিঠে ও পেটে লাগলে মাটিতে পড়ে যান জাকির হোসেন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৪ ঘণ্টা পর মারা যান তিনি।

সন্তানকে হারিয়ে বাবা-মা এখন দিশেহারা। জাকিরের মা মোমেনা বেগম বলেন, ১৯ জুলাই সকাল থেকেই মনটা খুব খারাপ লাগছিল। চারদিকে নানা ধরনের গুজব আর গণ্ডগোলের খবর শুনছিলাম। গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ ও আতঙ্কের খবর বলছিল কেউ কেউ। এ জন্য জাকিরকে ফোন করেছিলাম। তাকে সাবধানে থাকার জন্য বলছিলাম, কিন্তু সে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই গুলিবিদ্ধ হয়। মুহূর্তের মধ্যে ফোনে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। একজন মা হিসেবে সে মুহূর্তের কথা মনে হলে আমি আর ঠিক থাকতে পারি না।

জাকিরের স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম বলেন, জাকির ১৯ জুলাই সকালের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয় অফিসের কথা বলে। সারা দিন অফিসে থাকবে বলে জানিয়েছিল। সারাদিন আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। বিকাল ৫টার দিকে তার অফিসের কয়েকজন বাসায় আসেন। তাদের কাছেই প্রথম জানতে পারি জাকির গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে উত্তরার হাসপাতালে ছুটে গেলেও স্বামীকে আর বাঁচাতে পারিনি।

নিহত জাকির হোসেনের পিতা আবদুস সামাদ জানান, ২০০৩ সালে তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন জাকির হোসেন। কঠোর পরিশ্রম আর মেধার পরিচয় দিয়ে কয়েক বছর আগে সহকারী প্রোডাকশ ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি পান গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। গত মাস ছয়েক আগে ছোট পরিসরে নিজেই একটি পোশাক তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছিল। এখন সব শেষ হয়ে গেলো।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo